আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভাটা পড়েছে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে। সেপ্টেম্বরে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমায় সামগ্রিক আয় কমেছে। তবে হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আগের চেয়ে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাবে কমছে পোশাক রপ্তানি।
ট্রাম্প প্রশাসনের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কারণে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্কের বোঝা বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ে চাপ তৈরি হয়েছে, যার প্রভাবে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
ইপিবির তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৬২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য। যেখানে আগের বছর একই মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩৮০ কোটি ২৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে রপ্তানি কমেছে প্রায় ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
রপ্তানিতে সাময়িক এই ধস কাটিয়ে উঠতে হলে শুধু তৈরি পোশাক নয়, অন্য খাতেও নতুন বাজার ও পণ্য বৈচিত্র্যে জোর দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তা না হলে আগামী মাসগুলোতে এ খাত আরও চাপে পড়বে।
ইপিবির তথ্যমতে, রপ্তানি কমার মূল কারণ তৈরি পোশাক খাতের পতন। দেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে এ খাত থেকে। সেপ্টেম্বরে নিট পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির প্রভাবে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে জানিয়ে রপ্তানিকারকরা বলছেন, তাদের পক্ষে এই বাড়তি চাপ বহন করা সম্ভব নয়।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমেরিকার নতুন ট্যারিফের কারণে ক্রেতারা আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার ফলে তারা এখনও অর্ডার প্লেস করেনি। আবার হাই ট্যারিফের কারণে ভারত ও চীন ইউরোপ মার্কেটের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে আমরা একটা অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় পড়ে যাওয়ায় সেখানেও আমাদের অর্ডার প্রকিউরমেন্ট কমে গেছে। এ কারণেই রপ্তানি কমে গেছে।’
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।