• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দাম কমলেও ক্রেতাদের অভিযোগ থামেনি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
দাম কমলেও ক্রেতাদের অভিযোগ থামেনি
পেঁয়াজ-রসুনের দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রমজানের শুরুতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ টাকার ওপরে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।  পাশাপাশি কিছুসংখ্যক কাঁচা সবজির দামও কমেছে। কিন্তু বাজার মূল্য কমতে শুরু করলেও ক্রেতাদের অভিযোগ থামেনি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দাম যে অনুপাতে বেড়েছে, সে অনুপাতে কমেনি। তাদের মতে, বাজার দর ক্রয় ক্ষমতার আনতে হলে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসা জরুরি ব্যবসায়ীদেরও।

রতন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় কারওয়া বাজারে। অভিযোগ করে এই ক্রেতা বলেন, “কিছু পণ্যের দাম হয়তো ৫/১০ টাকা কমছে। এতে স্বস্তির কিছু নেই। কারণ যেভাবে পণ্যের দাম বেড়েছিল সে হারে কমেনি। যেই সয়াবিন তেল আমরা কিনে খেয়েছি ৮০-৯০ টাকা লিটার। সেই তেল প্রায় ২০০ টাকার কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে কমানো হলো ৪ থেকে ৫ টাকা। বাড়ছে যেভাবে, সে হারে কমছে না।”

বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। কিন্তু বাজার মূল্য কমা শুরু হয়েছে দাম বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই।  

সরেজমিনে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি (৪ পিস) ৮০ থেকে ১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

এদিকে বাজারজুড়ে যেমন দাম কমার চিত্র রয়েছে, একইভাবে দাম বৃদ্ধির চিত্রও রয়েছে কিছু পণ্যে। যেমন, প্রতি কেজি মুগডাল ১৭০ থেকে টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকার স্থলে ১১০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম নয়, বরং আড়ৎদ্বারের বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে স্বল্প লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য।

পেঁয়াজ ক্রেতা সুলতান আহম্মেদ বলেন, “পেঁয়াজের দাম বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, দুই-চারদিন আগে আরও কম ছিল ৬০ টাকা। এখন আরও ১০ টাকা বাড়ছে। একটা কমছে তো আরেকটা বাড়ছে। বাজারে কোনো জিনিসের দাম স্থির হচ্ছে না। ভেবে দেখেন পেঁয়াজের দাম সিজনে (মৌসুম) যদি ৭০ টাকা হয়, তবে পরে কত হবে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেও বিক্রি হচ্ছে না।”

বাজারের আরেক ক্রেতা খবির উদ্দিন বলেন, “পেঁয়াজ, মরিচসহ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তেলের দাম কম বা বেশি কোনোটাই মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে স্বস্তি ফিরছে বাজারে। তবে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। মধ্য-নিম্নবিত্তদের হাতের নাগালের এখনো অনেক পণ্য। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছে।”

পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুস সামাত বলেন, “আড়তদার যে দামে বিক্রি করছে, তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে আমরা বিক্রি করছি। ওখানে কম পেলে আমরাও কম বিক্রি করব। আমরা ২/৫ টাকা লাভের আশায় ব্যবসা করি।”

মুদি ব্যবসায়ী মনোয়ার বলেন, “বর্তমানে মুগডালের দাম বেশি। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে বাজারে ক্রেতা নেই। দেখা যাক মাসের মাঝামাঝি তো, আর কিছুদিন পর হবে আশা করছি। আল্লাহ ভরসা।”

Link copied!