• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আবারও শুরু পেঁয়াজ নিয়ে ভেলকিবাজি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
আবারও শুরু পেঁয়াজ নিয়ে ভেলকিবাজি
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজধানীর বাজারে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা। বিক্রেতাদের ভাষ্য, তীব্র শীতে সরবরাহ কম থাকায় দামের এই পরিবর্তন। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম কমতে পারে বলে আশ্বাস ব্যবসায়ীদের। আর ক্রেতাদের দাবি, পেঁয়াজের এই ভেলকিবাজির জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮২ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি পাবনার পেঁয়াজ ৮৯ থেকে ৯০ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

অপরদিকে এক সপ্তাহ আগে বাজারের পাইকারি দোকানে পাবনা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৭৫ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হয়েছিল পাবনা পেঁয়াজ ৭৯ থেকে ৮০ ও ফরিদপুরের ৬৯ থেকে ৭০ টাকায়।

দাম পরিবর্তনের এই চিত্র বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পাবনার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজে সর্বোচ্চ বেড়েছে ১৮ টাকা।

ধানমন্ডি থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা আকবর বলেন, “বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। তবে সন্দেহ রয়েছে, বেশি দামে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, সেই দাম আসলে কৃষকরা পাচ্ছে কি না।  আমার তো মনে হয় এই দাম ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিচ্ছে।  ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙলে কৃষক বাঁচবে, ভোক্তারাও বাঁচবে।”

মুগদা থেকে আসা তুহিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। আজকে দাম আবার বেশি। কিনতে এসেছিলাম ৫ কেজি, এখন কিনবো ২ কেজি। গত বছর থেকে পেঁয়াজের দামে এমন ভেলকিবাজি শুরু হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ যখন আসা শুরু হলো, তখন দামটা একটু কমলো। এখন আবার বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের দাম কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।”

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইমান আলী বলেন, “বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বেশি। একটা পাবনার পেঁয়াজ, আরেকটা ফরিদপুরের। এই দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। দাম বাড়ার পর থেকে ক্রেতার সংখ্যা কম। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দামটা কমে যাবে।”

পাইকারি ব্যবসায়ী সানোয়ার বলেন, “শীতের কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ তুলতে পারছে না। যে কারণে দামটা বাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। পেঁয়াজ তেমন বিক্রি হচ্ছে না। দুই একজন কাস্টমার (ক্রেতা) আসছে। চাহিদার চেয়ে কম কিনছে। ৫ কেজির জায়গায় আড়াই কেজি এমন।” 

Link copied!