রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫) নামে চার সন্তানের এক জননীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও স্বজনরা অভিযোগ কেয়ার স্বামী সিফাত আলী (৩০) তাকে হত্যা করে পালিয়েছেন।
তিনি পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৫৮৩ অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।
নিহতের ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, রাত ২টার দিকে সিফাত তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে কেয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে, স্বীকার করেন কেয়া মারা গেছেন। পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত পালিয়ে যান। পরে তারা বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সিফাত খুবই বদমেজাজি ছিল। সন্তানদের সামনে খারাপ আচরণ ও মারধর করত। সে নিজে কিছু করে না। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের বলি হয়েছে কেয়া।”
তিনি বলেন, “কেয়ার চার সন্তান রয়েছে- এক মেয়ে ও তিন ছেলে। বড় মেয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। কয়েকদিন আগে কেয়া বলেছিল, সে আর পারছে না, সংসার করতে পারবে না। আমরা তাকে বোঝিয়ে আটকিয়েছি। ভুল করেছি। আজ তার খেসারত মেয়েটিই দিয়ে গেল।”
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন এবং তার মা অনেক আগেই মারা গেছেন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাত রোমান জানান, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আছে এবং সেখানে সুরতহাল করা হবে।
তিনি জানান, আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও পুলিশি তদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য স্পষ্ট হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।






























