• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

জন্মদান (২)


গৌরাঙ্গ মোহান্ত
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১, ০৪:৫৫ পিএম
জন্মদান (২)

মূল : জঁ-মিশেল মোলপোয়া
ভাষান্তর ও ভূমিকা : গৌরাঙ্গ মোহান্ত

জঁ-মিশেল মোলপোয়া ফ্রান্সের মঁবেলিয়ারে ১৯৫২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কাব্য রচনায় ফরাসি গদ্য কবিতার ঐতিহ্যকে যেমন সমুন্নত রাখেন, তেমনি কাব্যালোচনার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ফরাসি কবি অঁরি মিশো, জাক রেদা ও রনে শারের কাব্য নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ পাঠকের দিগন্তকে বিস্তৃত করে। এছাড়া শুধু কবিতার বৈভব নিয়েও তিনি মূল্যবান প্রবন্ধ রচনা করেছেন; এ-জাতীয় কাজের ভেতর La Poésie malgré tout (1996), La Poésie comme l'amour (1998), Du Lyrisme (2000) উল্লেখযোগ্য। তিনি ২৫টির অধিক কাব্য রচনা করেছেন—Une histoire de bleu (1992), L'Instinct de ciel (2000) ও Pas sur la neige (2004) প্রভৃতি কাব্যের চিত্রকল্প বিস্ময়কর। Une histoire de bleu কাব্যে কবি নীল বর্ণের গভীরতর অর্থের অন্বেষণে ব্যাপৃত থেকেছেন। ডন কর্নেলিয়ো A Matter of Blue নামে কাব্যটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। উল্লেখ্য, ডন কর্নেলিয়ো Exploring Lyrical Circulation: Reading and Translating Jean-Michel Maulpoix and ‘Une histoire de bleu’ শিরোনামবিশিষ্ট  একটি গবেষণাপত্র প্রস্তুত করে পিএইচডি অর্জন করেন। জঁ-মিশেল মোলপোয়া Le Nouvean Recueil নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং প্যারিস এক্স-ননতের বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ও সমকালীন কবিতার পাঠদানে কর্মনিরত রয়েছেন। La Mise au monde (জন্মদান) কবিতাটি ‘Une histoire de bleu’ কাব্যের অন্তর্গত।

 

আমি স্বপ্নে একটি কবিতাকে পুষ্পদলমণ্ডলে বৃষ্টির মতো পড়তে দেখি, এর সোনালি পুংকেশর চুমকি-খচিত হৃদয়ের পুষ্পোদ্গমকে পরাগিত করে, অন্য রেশমি ও সুগন্ধি গ্রহকে প্রস্ফুটিত করে। চিত্রিত জলবাষ্পের ভেতর দিয়ে বৃষ্টির নিচে আমি মাতাল মাঠে হেঁটে যাই।
     কালিরং পাপড়ির রয়েছে প্রেমের পরে আত্মার অনুরূপ স্বাদ।

      বসন্ত যখন চিৎকার করে, চোখের ও অস্থির নিম্নতম জায়গায় বিদারণযোগ্য হৃদয়কে স্পর্শ করে, তুষারের ওপর দিয়ে আমি পৃথিবীর প্রান্তে চলে যাই। কালি তখন কেলাসিত করে আর গান গায়, আতঙ্কের কাচীভূত ঠোঁটের মাঝে লবণের অনুরণিত শুভ্রতা ও অ্যাসিড।

      সকল আনন্দ একটি আঘাতে ভূপাতিত; মৃত্যু জন্মের সাথে ঐকতানিক। আমরা নিঃশব্দতায় অপেক্ষা করি, করতল সিক্ত এবং বাহু ঝুলন্ত শিথিল, বিছানার ধারে তরুণীর মতো, হৃদয় তার মাংসের ছোট নৌকোয় দোলায়িত।

      আচ্ছাদনের সেলাই টেনে, ধৈর্যের দেবতাদের ও পরাগ-অতিক্রান্ত সমুদ্রকে সমাদর করে, শিগগিরই অন্যটি জেগে ওঠে। হালকা ছাতার মতো শব্দাবলি ঢেকে রাখে তার কপাল।

Link copied!