শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে ছুটছেন। গরম পোশাকে গা মুড়িয়ে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। কিন্তু আলসেমি তো পিছু ছাড়ছেই না। শীতের ভোরটা একটু আলসেমিতেই কাটে। কাজের গতি, কাজের স্পৃহাও যেন কমে যায় কিছুটা। তবে কাজ তো করতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে কাজের স্পৃহা বাড়াতে নিজেকে প্রস্তুত করুন। শীতের সময় প্রতিদিনের জীবনধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনুন। দেখবেন, আলসেমি কাটিয়ে ফুরফুরে হয়ে উঠেছেন।
শীতকালে জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তনগুলো আপনার কাজের স্পৃহা ঠিক রাখবে, তা জানাব এই আয়োজনে।
- সকালে স্কুল বা অফিসের কাজে যাবেন। তাই প্রথমেই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। প্রতিদিন নিয়মমতো ঘুমাবেন। ঘুম ভালো হলে কাজের স্পৃহা ঠিক থাকে। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। তবে অবশ্যই বেশিক্ষণ ঘুমাবেন না।
- শীত লাগছে, তবু বসে বা শুয়ে থাকবেন না। হাঁটাচলা করুন। দূরত্ব কম থাকলে প্রয়োজনে কাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরে যান। বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় হাঁটুন। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস রাখুন।
- সকালে উঠেই বা কাজের অবসের রং চা বা গ্রিন টি খেয়ে নিতে পারেন। শরীর ফুরফুরে থাকবে।
- কাজের সময় কথা বলবেন। কিছুক্ষণ পরপর হেঁটে বেড়াবেন। চুপচাপ থাকলে শরীরেও আলসে ভাব হয়।
- ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস কাজের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। অবশ্যই এই অভ্যাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন।
- কাজে যাওয়ার আগে ভারী পোশাক পরে নিন। পা বন্ধ জুতো পরুন। কান ঢেকে রাখার জন্য় টুপি ব্যবহার করতে পারেন, যা শরীরকে উষ্ণ রাখবে। শরীরে যত শীত অনুভূত হবে, ততই কাজের গতি কমবে।
- শীতকালে খাওয়াদাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে হবে। শাকসবজি এবং মাছ-মাংস নিয়ম করে খাবেন। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, এমন খাবার বেশি খাবেন। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাবেন না। অতিরিক্ত খেলে কাজের মাঝে ঘুমভাব হবে।