এই ঘর থেকে ওই ঘর পিছু পিছু ছুটছে মা। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে বসেই পড়লেন। চিন্তায় মাথায় হাত! বাচ্চা তো কিছুতেই খাচ্ছে না। একটাই উপায় জোর করে যাবড়ে ধরেই খাওয়াতে হবে। যেমন চিন্তা তেমনই কাজ। বাচ্চাকে জোর করে আটকেই খাওয়ানো শুরু। বাচ্চার চিত্কারেও তখন মায়ের মন ভিজে না। কারণ যেকোনো উপায়ে খাওয়াতে তো হবেই।
এমন চিত্র দেখা যায় বহু বাড়িতেই। মা-বাবার একটাই অভিযোগ বাচ্চাতো খেতেই চায় না। কী করবো? সেই চিন্তায় ঘুম আসে না বাবা-মার। কেউ কেউ বাচ্চাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছেও ছোটেন। নানা পথ্য সেবনে যদি বাচ্চার খাওয়ার রুচি ফেরে সেই চেষ্টাই চলে।
কিন্তু কোনও শিশুকে জোর করে খাওয়ানো কি আদৌ ভালো? বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, বাচ্চাকে জোর করে খাওয়ালে হিতের বিপরীত হতে পারে। শিশুর মধ্যে খাওয়া নিয়ে ভীতি সৃষ্টি হয়। যার ফলে ক্ষুদা পেলেও শিশুর খেতে চায় না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের জোর করে এক বারে না খাওয়ানোই ভালো। বরং একবার খেতে না চাইলে কিছুক্ষণ পর পর বা বার বার খাওয়ানো উচিত। তাদের মতে, শিশুকে জোর করে খাওয়ালে খাবারও ভালো করে চিবিয়ে খেতে পারে না শিশুরা। ঝটপট গিলে ফেলে। যা থেকে হজমে সমস্যা হয়। এমনকি গলায় খাবার আটকে গিয়ে বমিও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, খাবার ভালো ভাবে না চিবিয়ে না খেলে পুষ্টিগুণও পাওয়া যায় না। তাই খাবার খাওয়ানোর কোনো উপকারিতাই শিশু পায় না।
শিশুর ক্ষুদা পেলেই বা নিজে থেকে খাবার চাইলেই খাওয়ানো উচিত। শিশু খেতে না চাওয়া মানে তার খাবারের প্রয়োজন নেই। তখন জোর করলে শিশুর শরীরে অতিরিক্ত খাবার প্রবেশ করে। বয়সের তুলনায় শিশুর ওজন বেড়ে যায়। ফলে শিশুর শরীরে নানা রোগ দেখা দেয়। তাছাড়াও জোর করে খাওয়ালে শিশুর খাবারের প্রতি অনীহাও হয়। ভালো খাবারও তখন শিশু খেতে চায় না।