• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ মুহররম ১৪৪৬

পুরান ঢাকার ঘটনায় ছাত্রদলে পদত্যাগের হিড়িক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
পুরান ঢাকার ঘটনায় ছাত্রদলে পদত্যাগের হিড়িক
লোগো

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।

সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার পর সারা দেশে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের একের পর এক নেতার পদত্যাগের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নেতা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই পদত্যাগের ঘোষণার সঙ্গে তারা কোন কমিটির কী দায়িত্বে ছিলেন, সেই প্রমাণও দিচ্ছেন ফেসবুকে।

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের কাছে গত বুধবার বিকেলে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। পরে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত সোহাগ তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার জিনজিরার কদমতলীতে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন নামক এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, সোহাগের বয়স যখন মাত্র সাত মাস, তখন বজ্রপাতে সোহাগের বাবা আইউব আলীর মৃত্যু হয়। এরপর মা আলেয়া বেগম জীবিকার সন্ধানে সোহাগ ও তার দুই মেয়েসন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানেই বড় হন সোহাগ। তিনি ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামে একটি দোকান চালিয়ে আসছিলেন।

স্বজনদের দাবি, ওই দোকান থেকেই মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল কিছু দুর্বৃত্ত। একপর্যায়ে দোকানও তালাবদ্ধ করে দেয় তারা। বুধবার বিকেলে সোহাগকে বাসা থেকে ডেকে নেয় তারা। এরপর আটকে রেখে চাপ প্রয়োগ করা হয় চাঁদা দেওয়ার জন্য। রাজি না হওয়ায় পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে।

এই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সোহাগের নিজ জেলা বরগুনায় চলছে প্রতিবাদ ও শোক।

Link copied!