যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা ভ্যালেন্টিনা ডমিঙ্গেজ (৯)। সে তার বাবা-মা রুডি ও সেলেস্তে ডমিঙ্গেজের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বেড়াতে যায়। ফেরার পথে তারা জাপানের টোকিওতে যাত্রা বিরতি নেয়। আর এ সময় ভ্যালেন্টিনা টোকিওর হানেদা এয়ারপোর্টে তার পুতুল হারিয়ে ফেলে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ভ্যালেন্টিনার বাবা-মা। আমেরিকার এয়ারলাইন্সের পাইলট জেমস ডানেন ফেসবুকে পোস্টটি দেখতে পান। ডানেন সিদ্ধান্ত নেন, পুতুলটি শিশুটিকে ফিরিয়ে দেবেন।
ডানেন টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানে তিনি পুতুলটির খোঁজ পান।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের এই পাইলট বিয়াট্রিস নামক পুতুলটিকে ৫৮৮০ মাইল ভ্রমণ করে দেশে ফিরিয়ে আনেন। যাত্রা পথে ডানেন পুতুলটির সাথে ছবিও তোলেন।
অবশেষে পুতুল হারানোর তিন সপ্তাহ পর আগস্টের ২১ তারিখে ডানেন পুতুলটি ভ্যালেন্টিনাকে ফিরিয়ে দেন। এ সময় ডানেন ভ্যালেন্টিনকে কিছু জাপানি চকলেট আর একটি ম্যাপ উপহার দেন। ম্যাপটিতে বিয়াট্রিস কোথায় কোথায় গিয়েছিল তা চিহ্নিত করা রয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ ঘটনা উঠে আসে।
পুতুল ফিরে পেয়ে ভ্যালেন্টিনা বলেন, “বিয়াট্রিস আমার কাছে অনেক কিছু। সে আমাকে আনন্দ দেয়। সে আমার সেরা বন্ধু। তাকে হারিয়ে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।”
আর ডানেন জানান, “এটা আমার স্বভাবেই আছে। আমি মানুষকে সহায়তা করতে পছন্দ করি। আমি খুশি যে আমি একজন মানুষের জন্য সুন্দর কিছু করতে পেরেছি।”