বন্ধু দিবস পালনের মূল কারণ হচ্ছে বন্ধুর প্রতি নিঃশর্তভাবে ভালোবাসা, বন্ধুর পাশে থাকা। আজ রবিবার বিশ্ব বন্ধু দিবস। আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিবসটি।
বন্ধু দিবস হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ‘জয়েস হল’১৯১৯ সালে প্রথম পালন করেন। তিনি এবং তার বন্ধুরা আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস পালন করতেন এবং এই দিন সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত।
কিন্তু, বিশাল অর্থে বন্ধু দিবসের ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু। ১৯৩৫ সালে, মার্কিন কংগ্রেস ঘোষণা করেন, আগস্ট মাসের প্রতি প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হবে। সেই থেকে বন্ধুত্ব দিবস হয় জাতীয় উদযাপিত দিনগুলোর মধ্যে একটি। খুব শীঘ্রই এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস এর রুপ লাভ করে।
বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস ধারণাটি ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই ডঃ আর্টিমিও ব্রাহ নামে এক ভদ্রলোক প্রস্তাব করেন। যখন তিনি দক্ষিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ের পুয়ের্তো পিনাসকো শহরে তার বন্ধুদের নিয়ে ডিনার করছিলেন।
কিন্তু বন্ধু দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয়। প্রথম বিশ্ব বন্ধু দিবস ৩০ জুলাই করার জন্য প্রস্তাবিত হয়ে ছিল ১৯৫৮ সালে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ বিশ্বময় বন্ধুত্বের আলাদা অবস্থানে নিজেদের নিয়ে যায় ৷ ২৭ এপ্রিল ২০১১ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে ভারত, বাংলাদেশসহ কিছু দেশে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস উদযাপন করে ৷
বন্ধু ছাড়া বেঁচে থাকা যেন নিঃসঙ্গতাকে বেছে নেয়া। সময়ের বিবর্তনে বন্ধুত্বের ধরনে পরিবর্তন এলেও জীবনে বন্ধু মেলেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বন্ধু যেমন জীবনে যোগায় প্রেরণা, তেমনি নিয়ে যেতে পারে বিপথেও। তাই নতুন বন্ধুর ডাকে সাড়া দেয়ার আগে তার মানসিকতা ভালোভাবে জেনে নেয়ার পরামর্শ মনোবিজ্ঞানীদের।
বিশ্ব বন্ধু দিবসের আবেদন দৃঢ় হোক, জয় হোক বন্ধুত্বের।