• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ত্বক বাঁচুক ধুলা থেকে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ১২:৩০ পিএম
ত্বক বাঁচুক ধুলা থেকে

চারদিকেই এখন ধুলার মহোৎসব চলছে বলা যায়। ঘরে-বাইরে ধুলার অবাধ আনাগোনা। শীতের মৌসুমে এমনিতেই ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ। এর ওপর ধুলার আস্তরণ জমে বন্ধ হতে পারে ত্বকের স্বাভাবিক সূক্ষ্ম ছিদ্র। আর তার থেকে হতে পারে ব্রণ আর ফুসকুড়ি। বাইরে গেলে সানস্ক্রিন, ছাতা আর রোদচশমা ছাড়া তো ভাবাই যায় না। তা ছাড়া বাইরে যাওয়ার আগে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করলে সরাসরি ধুলাবালুর সংস্পর্শে আসে না ত্বক। এর বাইরেও এই সময়ের জন্য চাই আলাদা যত্ন।

পরিচ্ছন্ন ত্বক
ঘরে ফিরেই ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোজকার এই অভ্যাসে আলসেমি করা যাবে না। ধুলার এই সময়টাতে সপ্তাহে দুই দিন করে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ত্বক অতিসংবেদনশীল হলে বাড়িতে সুজি দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। ত্বকের ওপর মালিশ করার ক্রিম কিংবা বেবি অয়েলের সঙ্গে প্রয়োজনমতো সুজি যোগ করে নিলেই হয়ে যাবে দারুণ এক স্ক্রাব। তবে সংবেদনশীল ত্বকে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা যাবে না, বরং হালকাভাবে স্ক্রাব করতে হবে। মনে রাখবেন, ত্বকের ধরন যেমনই হোক, ব্রণের ক্ষত বা আঘাতজনিত ক্ষত থাকা অবস্থায় ত্বক স্ক্রাব করা যাবে না।

ময়েশ্চারাইজার
ত্বক ভেজা থাকতে থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। শুষ্ক ত্বকের জন্য চাই তেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বক তৈলাক্ত বা মিশ্র প্রকৃতির হলে সাধারণ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।

বরফ 
• ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন এ সময়। রোজ দুবার করে ত্বকে আলতোভাবে মিনিট খানিক মালিশ করুন বরফ। তবে ঠান্ডা না সইতে পারলে একবারই করুন। মুখের ফোলাভাবও কমবে। যাদের ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্র বা ‘পোরস’ বড় হয়ে তেল নিঃসরণ হয়, বরফ চিকিৎসায় তা ধীরে ধীরে কমে আসে।

• শসা ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন। এই রস বরফ করে রাখুন। পানির বরফের পরিবর্তে এই বরফ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে, উজ্জ্বলও দেখাবে।

• একই পদ্ধতিতে টমেটোর রসও বরফ করে রাখা যায়। এই বরফ ব্যবহারে ত্বকের টোনিং হবে, দাগছোপও দূর হবে। টমেটোর রস হলো প্রাকৃতিক ‘ব্লিচ’, এটি ত্বক উজ্জ্বল করে।

টোনার
• ত্বক টান টান রাখতে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করুন। ত্বকের দাগছোপও কমে যাবে।

• তাৎক্ষণিকভাবে দাগছোপ কমাতে অবশ্য ‘টনিক’ও ব্যবহার করতে পারেন। তুলায় ‘টনিক’ নিয়ে মুখ, ঘাড়, বগল, কুঁচকি এবং প্রয়োজন হলে ত্বকের অন্যান্য জায়গাতেও লাগানো যেতে পারে।

• ত্বকের ধরন বুঝে সেরাম বেছে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক কোমল ও ঝলমলে থাকবে। দাগছোপও কমবে।

প্যাক 
ব্লেন্ডারে দারুচিনি গুঁড়া করে চালনিতে চেলে নিন। ফেসপ্যাকটির জন্য ১ চা-চামচ পরিমাণ গুঁড়া লাগবে। ১ চা-চামচ বেসনও চেলে নিন। এবার এই দুটি উপকরণের সঙ্গে যোগ করুন ২ চা-চামচ মধু। ফেসপ্যাক লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ফেসপ্যাক লাগানোর পর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো করে মালিশ করতে করতে প্যাক তুলে ফেলুন। এরপর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এই প্যাক ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই প্যাক ব্যবহারে ব্রণ বা ব্রণের দাগ থাকলে সেটিও কমে যাবে। বলিরেখাও কমবে।

Link copied!