• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ঈদের আগে প্রাণবন্ত ত্বক পেতে যেভাবে যত্ন নেবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
ঈদের আগে প্রাণবন্ত ত্বক পেতে যেভাবে যত্ন নেবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

হাতের নাগালে ঈদ। দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে কাজ কর্ম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় আবার যত ঈদ এগিয়ে আসছে তত কেনাকাটায় ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ত্বকের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারেন না। এমনিতে রোজায় খাওয়াদাওয়া, ঘুমের সময়ের পরিবর্তনের কারণে ত্বকের উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। রোজার মধ্যে অনেকে আবার পর্যাপ্ত পানিও পান করেন না। ফলে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। তাই ঈদের দিন সুন্দর ও সজীব ত্বক পেতে আগে থেকেই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

যেভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন

ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সাথে সাথে ত্বকের আদ্রতার দিকেও নজর দিতে হবে। তাই ভালো মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু গরম পরেছে বাইরে বের হবার ১০-১৫ মিনিট আগেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। চোখের জন্য রাখতে হবে সানগ্লাস। ত্বক ভালো রাখার জন্য এ সময়টায় বেশি বেশি শাকসবজি ও পানি পান করতে হবে। সারাদিন রোজা রাখার কারণে পানি খাওয়া হয় না তাই ইফতারের পর থেকে বেশি বেশি পানি পান করুন। শাক সবজি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই শাক সবজি খেতে হবে বেশি করে। ইফতারিতে অনেকেই ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। ত্বককে সজীব রাখতে এই ধরণের ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না, নানা ধরণের মৌসুমী ফল খেতে পারেন।

এছাড়া নিয়মিত আপনাকে স্মুদি পান করতে হবে। স্মুদি ভেতর থেকে ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। দুই থেকে তিন ধরনের ফলসহ অন্যান্য উপকরণ থাকার কারণে স্মুদিতে থাকে প্রচুর ফাইবার। এই ফাইবারের কারণে পেট থাকে পরিষ্কার। যে কারণে ব্রণের মতো সমস্যা সহজে এড়ানো যায়। ফল, শাক, দই, সবজির মিশ্রণে তৈরি স্মুদিতে থাকা পানি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রেখে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

তাছাড়া ঘরে বসে  সাধারণ ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারেই ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব। টোনার হিসেবে ভিনেগার বা সিরকা দারুণ উপকারী। ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে এটি দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন। শুকিয়ে এলে পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে করলেও ত্বক পরিষ্কার হয় ও সতেজ থাকে।

ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে ১-২ দিন। ঘরে থাকা ১ টেবিল চামচ শসার রস ও ১ চা-চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন। এটি শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। আবার কাঁচা আলু থেঁতো করে এর রসটা ফেসমাস্ক হিসেবে কাজে লাগানো যায়। দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করবে। ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির হলে মধু ও দুধের সরের প্যাক তৈরি করতে পারেন।

সাধারণত সব ধরনের ত্বকেই জলপাই তেল ব্যবহার করা যায়। রোজ গোসলের কিছুক্ষণ আগে মুখে ও শরীরে জলপাই তেল দেওয়া ভালো। এ ছাড়া জলপাই তেল ও মধুর একটি হালকা মিশ্রণ বানিয়ে ফেসমাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন (২৫-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন)। চাইলে এ মিশ্রণ সারা রাত লাগিয়েও রাখা যায়। এ মিশ্রণ ত্বকের মৃতকোষ তুলে ফেলতে সাহায্য করে।

ফেসিয়ালের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা, ভিটামিন ই ও হারবাল ফেসিয়াল করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে। এ সময় গ্রিন টি অ্যালোভেরা যুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন । চাইলে হাইড্রোফেসিয়াল করাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে শসা রস ব্যবহার খুব উপকারী। শসার রসে মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মুখে হাতে ও পায়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বলতা পাবে।

ত্বকের যত্নে পেঁপে অনেক উপকারী। সানবার্ন যায় এই সময়টা। সেক্ষেত্রে পাকা পেঁপে চটকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ হাত পায়ে লাগিয়ে রাখুন। স্বাভাবিক পানি দিয়েই ধুয়ে ফেলুন। এতে সানবার্ন অনেকটা কমে যাবে। সপ্তাহে দুবার এটা করতে পারেন। 

Link copied!