বাবার শরীর ভালো রাখতে যেসব মেডিকেল টেস্ট জরুরি

বাবারা সাধারণত প্রচন্ড সহনশীল ও শক্ত মেনোবলের হয়। কিন্তু তাই বলে কী তাদের শারীরিক অবস্থাও সারাজীবন শক্ত থাকবে তা তো নয়। একটি বয়সের পর শারীরিকভাবে এমনিতেই সব মানুষ দূর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়াও নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর প্রতিটি পুরুষেরই উচিত নিয়মিত মেডিকেল টেস্ট করা ও স্বাস্থ্য সচেতন থাকা। বাবারা কখনো মুখ ফুটে শারীরিক সমস্যার কথা জানাতে চান না। সন্তান হিসেবে আপনার উচিত আগে থেকেই তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪০ এর পর থেকেই শরীর বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। এই বয়সের পর ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বৃদ্ধি, থাইরয়েড, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, প্রোস্টেট বৃদ্ধির মতো সমস্যা বাড়তে শুরু করে। নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করালে সব ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায় দ্রুত। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল চেকআপ আছে, যেগুলো বাবার ভালো স্বাস্থ্যের জন্য করাতে পারেন। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী কী—

উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ এখন কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়ে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, ৪০ বছরের বেশি বয়সের পর পুরষের উচিত রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা। রক্তে শর্করা পরীক্ষা করার জন্য এইচবিএ১সি পরীক্ষা করা হয়।

উচ্চ কোলেস্টেরল
উচ্চ রক্তচাপের মতো উচ্চ কোলেস্টেরলও একটি গুরুতর সমস্যা। যদিও এই রোগের লক্ষণ দেরিতে প্রকাশ পায়। ৩৫ বছরের বেশি বয়সের পর প্রত্যেকের প্রতি ৫ বছরে পুরুষের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত।

থাইরয়েড
থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি বা ক্লান্তি হতে পারে এর মূল লক্ষণ। টিএসএইচ পরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড কতটা ভালো কাজ করছে তা পরীক্ষা করা যায়। উচ্চ বা নিম্ন থাইরয়েড দুটোই পুরুষের উর্বরতা প্রভাবিত করতে পারে।

প্রোস্টেট অ্যান্টিজেন বা পিএসএ পরীক্ষা
প্রোস্টেট অ্যান্টিজেন বা পিএসএ পরীক্ষা করতে হবে ৪০ এর পর। প্রায় ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন তার জীবদ্দশায় প্রোস্টেট ক্যানসার আক্রান্ত হন। তবে নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়।