• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্যাস্টর অয়েলের নানা গুণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ১১:০১ এএম
ক্যাস্টর অয়েলের নানা গুণ
সংগৃহীত

প্রাচীনকাল থেকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে আসছে মানুষ। কম বেশি সবাই জানে চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতার কথা। ত্বকের নানা সমস্যাতেও এই তেল বেশি কার্যকরী। ক্যাস্টর অয়েল খুব ভারী এবং স্বাদেও ভালো নয়। তাই অন্য খাদ্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয় এটি। তবে ত্বক ও চুলে সরাসরি কিংবা অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেই, ক্যাস্টর অয়েলের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে
ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক ও মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। নানা কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায় কখনো কখনো। ত্বকের এই হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। এজন্য কিছু মেকআপ, লোশন ও ক্লিনজারে ক্যাস্টর অয়েল মেশানো থাকে।

চুলের যত্নে
চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ক্যাস্টর অয়েল বেশ জনপ্রিয়। আপনার কন্ডিশনারের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুলের রুক্ষতা দূর হবে। আর চুলে আর্দ্রভাব বজায় থাকবে। এছাড়া চুল পড়া ও আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ক্যাস্টর অয়েল কার্যকরি। নারকেল কিংবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি দূর করতেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যায়। খুশকি হলে মাথার তালুতে এই তেল ভালোভাবে লাগাতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
যাদের অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, ক্যাস্টর অয়েল তাদের জন্য বেশ ভালো। লেবু পানির সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর হবে। তবে ক্যাস্টর অয়েল খেতে হবে সামান্য পরিমাণে। বেশি খেলে মাথা ঘোরা, বমি কিংবা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যাস্টর অয়েল খেতে হবে।

ব্রণের সমস্যা দূর করে
ত্বকের প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল খুব কার্যকরী। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্রণের কারণে জ্বালাপোড়া থাকলেও কমে যাবে। ভালো ফল পেতে রাতে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ গরম পানির ভাপ নিয়ে মুখ ভালোভাবে মুছে নিন। একটু তুলায় ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। সারারাত এভাবে রেখে সকালে ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে।

ছত্রাক প্রতিরোধে কাজ করে
এক ধরনের ছত্রাক আছে, যা দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ছত্রাক মাড়ির সংক্রমণ ঘটায়। ক্যাস্টর অয়েল এই ছত্রাক প্রতিরোধ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের দাঁতে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, সেগুলো প্রতিরোধ করতে ক্যাস্টর অয়েল উপকারী।

Link copied!