কচুর পুষ্টিগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা আছে। কচু এমন একটি উদ্ভিদ, যার সব অংশই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তবে কচুর মধ্যে বাহারি কচু কিন্তু খাওয়ার উপযোগী নয়। খাওয়ার উপযোগী জাতগুলোর অন্যতম হচ্ছে মুখিকচু, পানিকচু, পঞ্চমুখী কচু, ওলকচু, দুধকচু, মানকচু, শোলাকচু ইত্যাদি।
মুখিকচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ` এবং লৌহ থাকে। ওলকচুতে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ উভয়ই বিদ্যমান এবং সাধারণত রান্না করে তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। আজ তেমনই একটি কচুর রেসিপি জানিয়ে দেব আপনাদের।
যা যা লাগবে
- কচুর গোড়ার অংশ ৪-৫ ইঞ্চি
- নারিকেল দুধ আধা কাপ (ঘন)
- পেঁয়াজ ১টি (বড়)
- হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ
- রসুনবাটা আধা চা চামচ
- জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ
- গরম মসলা গুঁড়া ১ চিমটি
- কাঁচা মরিচ ৪-৫টি
- লবণ স্বাদমতো
- তেল প্রয়োজনমতো।
যেভাবে বানাবেন
কচুর গোড়ার অংশ ভালো করে চামড়া তুলে নিয়ে আধা ইঞ্চি পুরু গোল চাক করে কেটে দুদিকে হালকা চিরে নিন। ফুটন্ত গরম পানিতে লবণ-হলুদ দিয়ে চাক করে কাটা কচুগুলো ভাপিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। প্যানে তেল গরম করে ভাপানো কচুগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
তারপর পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে তাতে একে একে মরিচ-হলুদের গুঁড়া, রসুনবাটা, জিরার গুঁড়া আর লবণ দিয়ে কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা কচু দিয়ে আবারও কষিয়ে অল্প গরম পানি দিন। কচু সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। কচু সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নারিকেল দুধ, গরম মসলার গুঁড়া আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ঝোল শুকিয়ে নামিয়ে নিন।