বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সমঝোতার গন্ডিতে গড়ে উঠে একটি সম্পর্ক। প্রথম দেখাতে ভালো লাগা থেকে প্রেম হতে পারে। কিন্তু সেই প্রেম টিকে থাকে কিছু বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে। এই বিষয়গুলো যখন হারিয়ে যায় তখন সম্পর্কে ভাঙনের সুর বাজে। ধীরে ধীরে দূরত্ব বেড়ে যায়। এক সময় দূরে থাকাতেই আনন্দ খুঁজে পায় কাছের মানুষ।
দাম্পত্যের সম্পর্ক বা প্রেমের সম্পর্ক ভাঙবে কি না তা আগ থেকেই টের পাওয়া যায়। বোঝাপড়ায় কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় যা বুঝিয়ে দিবে সম্পর্কে টানাপোড়ন কতটা রয়েছে।
শ্রদ্ধাবোধের অভাব
সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঝগড়া কিংবা কথা কাটাকাটি হলেও দিনের শেষে সব ভুলে এক হয়ে যাওয়াটাই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। মান অভিমান থেকে একে অন্যকে ছোট না করা কিংবা খারাপ কথা বা অপমান না করা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। যখন এই বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকে তখন বুঝে নেওয়া যায় সম্পর্কে ভাঙনের সুর বাজছে।
নমনীয়তা ঘাটতি
সম্পর্ক টিকে থাকতে একজনকে নমনীয় হতে হয়। মানে একজন রেগে গেলেন তো একজন চুপ রইলেন। এই বোঝাপড়াটা সম্পর্ক সুন্দর করে। কিন্তু সঙ্গী নমনীয় বলে তার উপর শাসন ও অবদমন চলতেই থাকে তবে সম্পর্ক একসময় নড়বড়ে হয়ে যায়।
জবাবদিহিতায় জর্জরিত
প্রতিটি বিষয়ে যদি একজন অন্যজনকে কাছে কৈফিয়ৎ বা জবাবদিহি করতে হয় তবে দূরত্ব বেড়ে যায়। এক সময় চারপাশ দমবন্ধ মনে হয়। সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাধীনতা না থাকা
যেকোনও সম্পর্কে স্পেস থাকা খুব দরকার। স্বাধীনভাবে নিজের মতো সময় কাটানো সবার পছন্দ। সঙ্গীকে ভালোবাসলে এই স্বাধীনতাটুকু দিন। পরস্পরের মধ্য়ে সেই বোঝাপড়াটা করে নিন। এটা নিয়ে সমস্য়া হলে সম্পর্কেও সমস্যা হবে।
বিশ্বাস না থাকা
প্রেম কিংবা দাম্পত্য সম্পর্কে অন্য়তম ভিত হলো বিশ্বাস। সম্পর্কের মধ্য়ে অবিশ্বাস, সন্দেহ, প্রতারণা থাকলে সেই সম্পর্ক টিকে থাকা মুশকিল। এক্ষেত্রে বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলেও তা নতুন করে অর্জন করাও কষ্টকর। যখন এই বিশ্বাসে ঘাটতি থাকবে তখন সম্পর্ক ভাঙন নিশ্চিত।
অবহেলা করা
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পরস্পরকে সময় দেওয়া খুব দরকার। কাজের ছুটিতে ঘুরে বেড়ানো , সব কথা শেয়ার করা এসব সম্পর্ক আরও মজবুত করে। যদি একে অন্যকে অবহেলা করা শুরু করে এবং সময় দেওয়ার ইচ্ছে না থাকে তাহলেই সমস্যা শুরু হয়। যে কোনও দরকারে সঙ্গীকে পাশে না পেলে তার প্রতি আন্তরিকতা নষ্ট হয়ে যায়। এক সময় সম্পর্কে ফাঁটল ধরে।
বন্ধুত্বের অভাব
যারা সঙ্গীর মাঝে নিজের বন্ধুত্ব খুঁজে পেয়েছেন তারা ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। কারণ বন্ধুত্ব সম্পর্কের মূল প্রেরণা। যারা এখনও বন্ধু হয়ে উঠতে পারেননি, তারা সর্তক হোন। কারণ সঙ্গীকে সমস্ত কথা বলতে না পারা দূরত্বের সৃষ্টি করে। বোঝাপড়ায় ঝামেলা হয়। জোর করে টিকে থাকে সম্পর্ক। একসময় ভেঙেও যায়।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































