হালের ফ্যাশনে নতুন ট্রেন্ড চুল কালার বা রং করা। শুধু ফ্যাশনেই নয়, চুল সাদা হওয়া শুরু করলেও কালার করতে হয়। ঘনঘন কালার করলে চুলে বিরূপ প্রভাব পড়ে। বলা যায়, চুল নষ্ট হয়ে যায়। চুলে কালার বেশি দিন স্থায়ী করা ও চুলের যত্ন নেওয়াই এর সমাধান হতে পারে। পারলারে না গিয়ে ঘরেই কীভাবে কালার করা চুলের যত্ন নেওয়া যায়, তা জানাব এই আয়োজনে।
- চুলে কালার করার পর অন্ততপক্ষে তিন দিন চুল না ধোয়ার চেষ্টা করুন। কারণ, এই সময় চুল ধুলে কালারও উঠে যাবে।
- কালার চুলে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কালার ঠিক রাখতে ও দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে প্রোটেকট্যান্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে চুলের কালার অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে। তাড়াতাড়ি ফ্যাকাশে হবে না।
- চুল হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এতে চুলের রং ফ্যাকাশে হবে না।
- সিল্কি চুলের জন্য় ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্পা করে নিন। এটি চুলের কালার ঠিক রেখে চুলের স্বাস্থ্যের জন্য় বেশ উপকারী।
- হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। এগুলো চুলে মারাত্মক ক্ষতি করে। এগুলোর তাপ, চুলের আর্দ্রতা এবং রং নষ্ট করতে পারে। চুল রুক্ষ-শুষ্ক করে তোলে।
- চুলে যেকোনো শ্যাম্পু ব্যবহার বন্ধ করুন। চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচন করুন।
- সপ্তাহে অন্তত তিনবার চুলে হালকা গরম তেল মালিশ করুন। এটি অত্যন্ত উপকারী। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল অথবা জোজোবা অয়েল হালকা গরম করে ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলে তেল ব্যবহারের সময় ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। চুল ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ করবে।
- চুলে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি ডিম ও দুই টেবিল চামচ মেয়োনিজ ভাল করে মিশিয়ে চুলে লাগান। এটি মিশ্রণটি ৪৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ভালো করে শ্যাম্পু করুন। এটি চুলকে নরম ও মসৃণ করবে।
- চুলে ব্রাশ কিংবা চিরুনি ব্যবহার করুন আলতো হাতে। চুল যেন ছিঁড়ে না যায় খেয়াল রাখুন। চুল বাঁধার জন্য ফেব্রিক ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন।