• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

গুয়ান্তানামো কারাগারে নির্যাতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০২:১৬ পিএম
গুয়ান্তানামো কারাগারে নির্যাতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে হবে

গুয়ান্তানামো বে কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে যে ধরনের অমানবিক ও অপমানজনক আচরণ করা হয়েছে তার নিন্দা এবং সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টার ফিওনুয়ালা নি আওলাইন। একই সঙ্গে তিনি এই আচরণের জন্য ওয়াশিংটনকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদন এ খবর জানিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এসব কথা বলেছেন।

সম্প্রতি তিনি কিউবা উপসাগরের একটি দ্বীপে অবস্থিত গুয়ান্তানামো কারাগার পরিদর্শন করেছেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে গুয়ান্তানামো বে কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

ফিওনুয়ালা জানিয়েছেন, দুই দশক পর তিনি দেখেছেন বন্দিরা এখনো ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন এবং এ অবস্থা অব্যাহত আছে। গুয়ান্তানামো বে কারাগারের বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনা মূলত তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই অধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছু বলেনি।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কথিত সন্ত্রাসবাদী হামলার অজুহাত তুলে আফগানিস্তান, ইরাক, জর্ডান, সৌদি আরব ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের লোকজনকে জোর করে ধরে নিয়ে তাদের উপর অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে মার্কিন সেনারা।

বন্দিদের ওপর নির্যাতনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম গুয়ানতানামো বে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও দেশটির সেনাবাহিনী এখানে বন্দিদের ওপর জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানুষিক নির্যাতন চালাত। এ কারাগারে শুধু সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্তদের বন্দি করে রাখা হতো। তবে কোনো মার্কিন নাগরিককে সেখানে পাঠানো হয়নি কখনো।

২০০২ সালে গুয়ানতানামো বে বন্দি নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে আসে। নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন প্রশাসন। নির্যাতনের বেশ কিছু ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়।

যাতে দেখা যায়, মার্কিন সেনারা বন্দিদের কমলা রংয়ের পোশাক পরিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করছে। এছাড়া কারাগারটিতে কোনো সংবাদকর্মীর প্রবেশেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।

Link copied!