দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ভারতসহ ব্রিকসের সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে হুমকি দিয়ে রাখলেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। ব্রিকসের সদস্যদেশগুলোকে নতুন কোনো মুদ্রা চালু করতে নিষেধ করেছেন তিনি। তার কথা না মানলে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ডলারের আধিপত্যকে খর্ব করতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে চীনসহ কয়েকটি দেশ। চীন তার মুদ্রা ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অন্যতম প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আগের চেয়ে বেশি ইউয়ান ব্যবহার করছে। এদিকে ভারতও চায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তার মুদ্রা রুপির ব্যবহার বাড়াতে।
ডলারের আধিপত্য কমাতে ব্রিকসের সদস্যদের মধ্যে নতুন একটি ব্রিকস মুদ্রা তৈরিও কথাবার্তা হয়েছে। যদিও সেই আলোচনা এখনো বেশি দূর গড়ায়নি। এর মধ্যেই হুমকির বার্তা এলো আমেরিকার পরববর্তী প্রেডসিডেন্টের কাছ থেকে।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “এসব দেশের কাছ থেকে আমরা একটি প্রতিশ্রুতি চাই যে তারা নতুন একটি ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না বা তারা এমন আর কোনো মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না, যা শক্তিমান মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপিত করবে।’ এই প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হলে ‘তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মোকাবিলা করতে হবে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্রিকস মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপিত করবে, এমন কোনো সুযোগই নেই। কোনো দেশ যদি এমনটা করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় বলতে হবে।”
গত ৫ নভেম্বরের ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী। এরই মধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন যে শিল্প উৎপাদনব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে তিনি যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। আর চীনের পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কের হার হবে অন্তত ৬০।
ব্রিকস জোটের মূল সদস্যদেশ ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ২০২৩ সালে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও ইথিওপিয়া ব্রিকসে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।








































