প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। প্রায় এক বছর এদিক-সেদিক পালিয়ে থেকেছেন। অবশেষে শনিবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন নীলাঞ্জন। কখনো গুয়াহাটি, কখনো দিল্লি। শুধু তা-ই নয়, গত এক বছরে ৭০ বার মোবাইলের সিম বদল করেছিলেন তিনি। ১২ বার বদল করেছিলেন মোবাইল ফোনও! এত কিছু করেও অবশেষে তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। দিল্লির মেহেরৌলি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার তাকে রিমান্ডে দিয়ে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন। প্রতারণার ঘটনায় নীলাঞ্জনের স্ত্রীও অভিযুক্ত। তিনি অবশ্য পলাতক। এ ঘটনায় এর আগে রাজদীপ চৌধুরী নামের আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে রাজদীপ জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাকে নীলাঞ্জনের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সোমবার রাজদীপকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আলীপুর আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ আরও জানায়, নীলাঞ্জনের বিরুদ্ধে আটটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
গত বছরের মার্চে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার শিল্প শহর ডানকুনির বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিযোগে জানান, তাকে ২০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারকেরা ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ প্রায় ৯৭ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তিনি ঋণ পাননি।
আপনার মতামত লিখুন :