• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৭


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৭

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। রেলওয়ে কর্মকর্তা মহসিন সিয়াল জানিয়েছেন, সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচি থেকে ৫০০ কিলোমিটার উত্তরের জেলা খায়রপুরে ট্রেনটিতে আগুন লাগে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, একটি চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

মহসিন সিয়াল বলেন, “ট্রেনের ভেতর লাগা আগুনে পুড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে এক নারী আগুন থেকে বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কীভাবে চলন্ত ট্রেনে এমন ভয়াবহ আগুন লাগল, সেটি এখনো জানা যায়নি।”

টেলিভিশন ফুটেজে ট্রেনের বেশ কয়েকটি পুড়ে যাওয়া অংশ দেখানো হয়েছে। ট্রেনটি করাচি থেকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে যাওয়ার পথে একটি বগিতে আগুন লেগে যায়।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগুনে ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। পাকিস্তানে দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে কিছু যাত্রী রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত ছোট গ্যাসের চুলা নিয়ে ওঠেন। যেগুলো দিয়ে ট্রেনের ভেতরই রান্না করে থাকেন তারা। যদিও ট্রেনে গ্যাসের চুলা ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যাত্রীদের বহনকৃত কোনো চুলা থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অত্যধিক যাত্রীর চাপের কারণে দেশটির ট্রেনে প্রায়ই নিরাপত্তা বিধি উপেক্ষিত হয়। এ ছাড়া দেশটিতে সরকারি অবহেলা এবং দুর্বল রেল অবকাঠামোর কারণেও প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের একটি ট্রেনের ভেতর রাখা গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। এতে করে ট্রেনের একটি বগিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে পুড়ে অন্তত ৭৪ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন। যা পাকিস্তানের রেলের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা ছিল।

এদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার জেলায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার ধারে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সন্ত্রাসবাদ দমন বিভাগের জন্য কর্মরত একজন স্থানীয় পুলিশ প্রধান নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এবং জঙ্গিরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত। কেননা, এর আগে এই অঞ্চলে বিভিন্ন হামলায় তারা দায় স্বীকার করেছিল।

Link copied!