• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩, ১২:০২ পিএম
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার (৮ মার্চ) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নির্বাচনী সমাবেশের আগে লাহোরে ১৪৪ ধারা জারির পরে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সাবেক আইএসআই প্রধান এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ জমার অভিযোগের তদন্ত চলছে।” তবে এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। কোনো অগ্রগতি থাকলে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসে মদত ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

সানাউল্লাহ আরও বলেন, “জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) সামরিক বিচার করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়। শুধুমাত্র ওই প্রতিষ্ঠানই ফয়েজের কোর্ট মার্শাল পরিচালনা করতে পারে। যা কিছু করা হচ্ছে তা প্রয়োজন ছিল এবং পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে।”

প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার ‘ডান হাত’ ছিলেন ফয়েজ। আর বাজওয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের এপ্রিলে ইমরানের সরকার ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। আইএসআই প্রধানও সেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার ছিলেন বলেই অভিযোগ রয়েছে।

ডন বলছে, জেনারেল হামিদকে সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের প্ররোচনা, চাঁদাবাজি, রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস ছড়ানোর সাথে সাথে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

এক সাক্ষাৎকারে সাবেক আইএসআই প্রধান বলেছেন, ২০১৭-১৮ সালে তিনি কেবল সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেছেন, সামরিক শৃঙ্খলার অধীনে এরকম একজন অফিসার একা সরকারকে পতন করতে পারে কিনা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ১৮ তাদের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, জেনারেল হামিদের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। কবে ও কিভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তা শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে গত বছর থেকেই পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি হামলার পিছনেও পাকিস্তানের তালেবানরা ছিল। ওই হামলার পিছনেও ফয়েজের হাত ছিল বলে অভিযোগ।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, শিগগিরি সংসদে ডাকা হতে পারে ফয়েজকে। তার কথায়, “পাকিস্তানে জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেয়ার পিছনে ফয়েজ দায়ী।”

Link copied!