তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতাকে ‘বিশৃঙ্খলা’ হিসেবে উল্লেখ করে মঙ্গলবার ৯ মেকে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশটির ক্ষুব্ধ সমর্থকরা বেশ কয়েকটি সেনা সদর দপ্তরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ জন্য সেনাবাহিনী ৯ মেকে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায়। রাষ্ট্রের সম্পত্তিতে (সেনা সদর দপ্তর) আবারও হামলা হলে প্রতিবাদকারীদের ‘চরম জবাব দেওয়া’ হবে।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, সেনাবাহিনীর অবকাঠামোতে পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরোর নির্দেশে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর যা ঘটেছে, সেটা ছিল সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে সুপরিকল্পিত একটি নীলনকশা।
কর্মীদের সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার জন্য পিটিআই নেতাদের ‘ভণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, একদল লোক ক্ষমতার লালসায় রাজনৈতিক পোশাক পরে দেশের নজিরবিহীন ক্ষতি করেছে। তারা এতটাই ক্ষতি করেছে যে পাকিস্তানের শত্রুরা পর্যন্ত তা করতে পারেনি। সেনাবাহিনী চরম ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, সংযম প্রদর্শন করেছে। সেনাবাহিনী বিচক্ষণতায় ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল হয়ে গেছে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে গ্রুপটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালালে কঠোর বদলা নেওয়া হবে। কাউকেই জনগণকে উসকানি দিতে এবং আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে দেওয়া হবে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। এর পর থেকেই দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতা।