• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে লুট করা সম্পদ ফেরত দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে লুট করা সম্পদ ফেরত দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ঔপনিবেশিক আমলে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে নিয়ে যাওয়া শত শত মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব বস্তু ফিরিয়ে দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। যার মধ্যে রয়েছে বালিনিজ রাজপ্রাসাদ থেকে ডাচ সৈন্যদের লুট করা মূল্যবান পাথর, সোনা ও রুপার গয়না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়,  ২০২০ সালে একটি উপদেষ্টা কমিটির এক প্রতিবেদনে ৪৮৪টি প্রত্নতত্ত্ব বস্তু যেসব দেশ থেকে লুট করা হয়েছে, তা সেসব দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া সুপারিশ করা হয় সরকারকে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

ওই কমিটি প্রতিবেদনে জানায়, কোনো উপনিবেশ দেশ লুণ্ঠিত বস্তুসামগ্রী দাবি করলে সরকারকে বিনা শর্তে তা ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত। নেদারল্যান্ডসকে অবশ্যই ঔপনিবেশিক যুগের অন্যায়ের দায় নিতে হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অন্যান্য দেশও সাম্প্রতিক বছরে লুণ্ঠিত মূল্যবান নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে। এর মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো ব্রিটেন ও জার্মান জাদুঘর ১৮৯৭ সালে নাইজেরিয়ায় ব্রিটিশ সামরিক অভিযানকালে লুণ্ঠিত কিছু বেনিন ব্রোঞ্জ হস্তান্তর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

ডাচ স্টেট সেক্রেটারি অব কালচার অ্যান্ড মিডিয়ার গুনেয় উসলু বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো আমরা কমিটির সুপারিশ অনুসরণ করছি। এবং এমন বস্তুগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য যা নেদারল্যান্ডসে কখনো আনা উচিত ছিল না।

ইন্দোনেশিয়ার কাছে ফেরত দেওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে সিংহসারির সাবেক জাভানিজ হিন্দু রাজ্যের চারটি পাথরের মূর্তি, ক্লুংকুং রাজ্যের একটি কেরিস ড্যাগার এবং বালির আধুনিক শিল্পের ১৩২টি বস্তু, যা পিটা মহা সংগ্রহ নামে পরিচিত।

যদিও বস্তুগুলোর মধ্যে ‘জাভা ম্যান’ এর বিখ্যাত মানব দেহাবশেষ অন্তর্ভুক্ত নয়। এর আগে ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়া তাদের এসব প্রত্নতত্ত্ব বস্তু ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছিল।

এদিকে শ্রীলঙ্কা ১৮০০ শতাব্দীর একটি সুসজ্জিত ব্রোঞ্জ কামান ফিরিয়ে নেবে, যা বর্তমানে আমস্টারডামের রিজকস মিউজিয়ামে রয়েছে। এটি প্রদর্শনও করা হয়। এটি ১৭৪০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার এক অভিজাত ‘ক্যান্ডির রাজা’কে উপহার দিয়েছিল বলে মনে করা হয়। কামানটি ১৭৬৫ সালে ডাচদের হাতে পড়েছিল বলে মনে করা হয়। এ সময় ডাচ সৈন্যরা শ্রীলঙ্কার রাজ্য ক্যান্ডি আক্রমণ এবং জয় করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি তার উত্তরাধিকার নিয়ে আরও খোলামেলাভাবে আলাপ করছে। শনিবার নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম আলেকজান্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে উপনিবেশকালের দাস ব্যবসার ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তাকে পীড়া দিয়েছে।

১৭ শতকের পরে নেদারল্যান্ডস একটি প্রধান ঔপনিবেশিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। তৎকালীন বিশ্বজুড়ে ডাচ দাস ব্যবসায়ীরা ৬ লাখের বেশি মানুষ পাচার করেছিল।

Link copied!