জাপানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পূর্বাভাসে দেখা গেছে, যুদ্ধোত্তর ‘বেবি বুম প্রজন্মের’ শিশুরা ৬৫ বা তার বেশি বয়সী হলে ২০৪০ সাল নাগাদ এক কোটিরও বেশি কর্মী ঘাটতির মুখে পড়তে পারে দেশটি।
সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রিক্রুট ওয়ার্কস ইন্সটিটিউট নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ভবিষ্যতের আনুমানিক মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) এবং লিঙ্গ ও প্রজন্ম ভিত্তিতে কর্মীদের অনুপাতের উপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, টোকিও ছাড়া সবকটি জেলাতেই কর্মী ঘাটতির সম্ভাবনা কথা বলা হয়েছে। ১৮টি জেলায় শ্রমিক ঘাটতির হার হবে ২০ শতাংশের বেশি, যা হল মোট শ্রমিকের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
কিয়োতো, নিইগাতা এবং নাগানোর মত জেলাগুলোতে এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সুনিশ্চিত এক পর্যায়ে থাকার ফলে শ্রমের চাহিদা সেখানে সম্ভবত বেশি হবে এবং জন্মহার হ্রাস পাওয়ার সাথে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মী ঘাটতি দেখা দেবে।
অন্যদিকে শিমানে, কাগাওয়া এবং তোইয়ামা জেলায় কর্মীর চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় সেই সব এলাকায় শ্রম ঘাটতির পূর্বাভাস হচ্ছে নিম্ন মাত্রার।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাপানের সরকারি তথ্য মতে, জাপানের জনসংখ্যা গত চার বছর ধরে কমছে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বা ২ লাখ ১৫ হাজার কমেছে।
দেশটির জনসংখ্যার বড় একটি অংশই এখন প্রবীণ। এ অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে জাপান সরকার। এমনকি জনসংখ্যা বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। প্রতিটি শিশু জন্মের পর তার অভিভাবককে চার লাখ ২০ হাজার ইয়েন দেওয়া হচ্ছে সরকারের তহবিল থেকে। কিন্তু তাতেও বাড়ছে না দেশটির জনসংখ্যা।
আপনার মতামত লিখুন :