ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামাতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে ১২ দিনের যুদ্ধও থামালেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করার সুপারিশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে পাকিস্তানও নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করার সুপারিশ করেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের হাতে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন-সংক্রান্ত একটি চিঠির কপি তুলে দেন নেতানিয়াহু। সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকসহ উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
চিঠি হস্তান্তরের সময় নেতানিয়াহু বলেন, 'তিনি (ট্রাম্প) আমাদের কথায় সাড়া দিয়ে একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে নোবেল কমিটিতে প্রেরিত আমার সুপারিশপত্র তুলে দিচ্ছি। এই মনোনয়ন আপনি পুরোপুরি প্রাপ্য।'
মনোনয়নের খবর শুনে ট্রাম্প তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমি জানতামও না—বাহ! সত্যিই দারুণ। আপনার কাছ থেকে পাওয়া...এটি আমার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’
নৈশভোজ শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সারাকে দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাদের একসঙ্গে অর্জিত সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বিবি (নেতানিয়াহু) ও সারা আছেন—এটি সম্মানের। আমরা বহু বছর ধরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একসঙ্গে অনেক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছি। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য আসবে।'
জবাবে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, 'আমি শুধু ইসরায়েলি জনগণ নয়, বরং বিশ্বব্যাপী ইহুদি জনগণ ও আরও বহু মানুষের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
সূত্র: রয়টার্স