• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ মুহররম ১৪৪৬

৭৪ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন চীনে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
৭৪ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন চীনে
চীনের প্রাচীর

চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের ভিসানীতি নজিরবিহীনভাবে শিথিল করেছে। এখন থেকে বিশ্বের ৭৪টি দেশের নাগরিকরা চীনে ভিসা ছাড়াই ৩০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।

চীনের জাতীয় অভিবাসন প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ২ কোটির বেশি বিদেশি পর্যটক ভিসা ছাড়াই চীনে প্রবেশ করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ এবং মোট আগত পর্যটকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

কোভিড-১৯ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ২০২৩ সালে চীন সীমান্ত খুলে দেয়, কিন্তু তখন মাত্র ১.৩৮ কোটি পর্যটক আসে, যা ২০১৯ সালের ৩.১৯ কোটির অর্ধেকেরও কম।

পর্যটন ব্যবসা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বেইজিংয়ের ‘টেম্পল অব হেভেন’-এ ঘুরতে আসা এক জর্জিয়ান পর্যটক জর্জি শাভাদজে বলেন, “ভিসার প্রক্রিয়া অনেক ঝামেলাপূর্ণ। এই নতুন নীতির ফলে ভ্রমণ অনেক সহজ হয়েছে।”

২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়ার নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ চালু হয়। এরপর ধাপে ধাপে ইউরোপের প্রায় সব দেশ, লাতিন আমেরিকার ৫টি দেশ, উজবেকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের ৪টি দেশ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

১৬ জুলাইয়ের মধ্যে আজারবাইজান যুক্ত হলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৫। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ দেশকে এক বছরের পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

২০ বছরের অভিজ্ঞ ইংরেজি ভাষাভাষী ট্যুর গাইড গাও জুন বলেন, “আমি এত পর্যটক সামাল দিতে পারছি না। তাই নতুন গাইড তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবসা শুরু করেছি।”

চীনের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি Trip.com জানায়, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে তাদের ওয়েবসাইটে চীন ভ্রমণের বুকিং দ্বিগুণ হয়েছে। এর ৭৫ শতাংশ বুকিং এসেছে ভিসামুক্ত অঞ্চলের পর্যটকদের কাছ থেকে।

চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও আফ্রিকার কোনো বড় দেশ এখনও এই তালিকায় নেই।

যেসব দেশ এই তালিকায় নেই (যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, রাশিয়া, সুইডেন প্রভৃতি), তাদের জন্য রয়েছে ১০ দিনের সীমিত ট্রানজিট সুবিধা, যদি তারা অন্য দেশে গমনের উদ্দেশ্যে চীনে প্রবেশ করে। এটি ৬০টি নির্ধারিত বন্দরে প্রযোজ্য।

WildChina-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেনি ঝাও বলেন, “আমাদের ব্যবসা এখন মহামারীর আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপ থেকে এখন ১৫-২০ শতাংশ পর্যটক আসছে, যা আগে ছিল ৫ শতাংশের কম।”

চীনের এই নতুন ভিসানীতিকে পর্যটন খাতের জন্য একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Link copied!