অবশেষে নারীসহ সেই ‘পাখি জসিম‘ গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইয়াবা, ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডক্যাফসহ জসিম ওরফে পাখি জসিমকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে মাদক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) রাতে আশুগঞ্জের জাকির মার্কেটস্থ ‘শাহজালাল পাখির মেলা’ দোকান থেকে জসিমকে আটক করা হয়। এ সময় জমিসের এক নারী সহযোগীকেও আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, জসিম মাদক কারবারি। পাশাপাশি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন।

গ্রেপ্তার হওয়া জসিম নবীনগর উপজেলার মো. তৈয়ব মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জে অবস্থান করে পাখি বেচাকেনার আড়ালে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘পাখি জসিম’ নামে পরিচিত। এছাড়া, পুলিশের সোর্স হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। তাকে প্রায়শ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিতে দেখা গেছে। শারীরিক গঠন ও পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ চলাফেরার কারণে অনেকেই তাকে পুলিশের লোক ভাবতেন।

গ্রেপ্তার হওয়া নারী মোছা. হোসনা আক্তার (২৪) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমায়ুনপুর গ্রামের মো. গোলাম হোসেনের মেয়ে। তিনি জসিমের সহযোগী বলে জানা গেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথবাহিনী জানিয়েছে, গোপন খবরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে জসিম ও হোসনার কাছ থেকে ৬৬৫ পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির এক লাখ ৩৯ হাজার ৯২৭ টাকা, তিনটি স্মার্টফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট ও পুলিশের একটি হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত আলামতসহ তাদের আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জসিম দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় মাদক কারবার চালাতেন। তার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ উপজেল আইনশৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সভায় অভিযোগ তোলা হয়েছে।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, “গ্রেপ্তারদের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”