এক যুগ পর সিরিয়া সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সিরিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি আঞ্চলিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইরান ও রাশিয়ার সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তায় আসাদ সংঘর্ষের মোড় ঘুরিয়ে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। বর্তমানে সিরিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল আসাদের নিয়ন্ত্রণে।
ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক সূত্রটি জানায়, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতা এবং সিরিয়ার সঙ্গে অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর বিচ্ছিন্নতার বরফ গলতে শুরু হওয়ায় এই সফরের পথ তৈরি হয়েছে।
সিরিয়া সরকারের ঘনিষ্ঠ দৈনিক আল-ওয়াতান জানিয়েছে, দুই দিনের সফরে রাইসি দামেস্ক আসছেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে সফর ঘিরে। সহায়তা নিয়ে আগেও আসাদের পাশে ছিল তেহরান। দামেস্ককে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি সিরিয়ার খনি থেকে ফসফেট আমদানি করেছে ইরান।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সিরিয়া সফর যখন ঘনিয়ে আসছে তখনই ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার হোমস শহরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলছে, একটি অস্ত্রের ডিপোতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রটি। দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি সানা জানিয়েছে, শনিবার রাতে হামলায় একটি বেসামরিক জ্বালানি স্টেশনে আগুন ধরে যায়। বেশ কয়েকটি জ্বালানি ট্যাংকার এবং ট্রাক পুড়ে গেছে। তিনজন বেসামরিক নাগরিক আহত হন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হোমসের গ্রামে একটি সামরিক বিমানবন্দরে লেবাননের হিজবুল্লাহর একটি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালাল ইসরায়েল।
নতুন করে সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে তেল আবিবের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :