অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে গাজা প্রস্তাব। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) প্রস্তাবটি পাস হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের মধ্যে ভোটাভুটি হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এরবদলে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর স্বস্তি প্রকাশ করে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা টমাস-গ্রীনফিল্ড । তিনি বলেন, “এটা কঠিন বিষয় ছিল , কিন্তু আমরা সেটা করতে পেরেছি”।
তিনি বলেন এই ভোটের ফলে ‘গাজায় মানবিক সংকট লাঘব করা, সেখানে জীবন রক্ষাকারী সহযোগিতা প্রদান করা , গাজা থেকে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনা , নির্দোষ অসামরিক লোকজন ও মানবিক কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করা সম্ভব হবে’।
যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা যখন চলছিল তার মধ্যেই শুক্রবার ইসরাইলের বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণের আরও বিস্তার ঘটিয়েছে। ছিটমহলটিতে মানবিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাজার বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহতেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজার মধ্য অঞ্চলের আল-বুরেজ এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের অবিলম্বে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এটি এই এলাকায় সম্ভাব্য স্থল হামলার ইঙ্গিত।
আপনার মতামত লিখুন :