• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
অটোমান সাম্রাজ্যের রীতি

নির্বাচনের আগে নামাজ পড়ালেন এরদোয়ান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ১০:৪৭ এএম
নির্বাচনের আগে নামাজ পড়ালেন এরদোয়ান

যুদ্ধে যাওয়ার আগে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা নিজে নামাজ পড়াতেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে ধরেই রাজধানী ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া মসজিদে নামাজ পড়িয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার নামাজে ইমামতি করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর তাই এবারের নির্বাচনটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য। দেশটির ইতিহাসে এর আগে কখনো এতগুলো দলকে ‘এক হতে’ দেখা যায়নি।

ছয়টি রাজনৈতিক দলের জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কেমাল কিলিকদারোগলো। নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে কেমাল এরদোয়ানের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।

কেমাল নিজে একজন ধর্মনিরপেক্ষ হলেও তিনি জানিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কে নারীদের হিজাব পরার যে অধিকার রয়েছে, এতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন না।

এদিকে এবারের নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাত্র তিন আগে মুহারেম ইনস নামের এক প্রার্থী সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়টি এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে।

কেমালের সমর্থকরা ‘স্বপ্ন’ দেখছেন তাদের প্রার্থী কালকের নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন।

তুরস্কের নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পেতে হবে। এমনটি যদি না হয় তাহলে যে দুজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তাদের মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটিতে এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৫০ লাখ তরুণ।

এদিকে আয়া সোফিয়া মসজিদটি আগে বাইজান্টাইনদের গির্জা ছিল। পরবর্তী সময়ে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন।

তবে ধর্মনিরপেক্ষ ও আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ক ১৯২৩ সালের পর আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানিয়ে সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। কিন্তু ২০২০ সালে আবারও এটিকে মসজিদের রূপে ফিরিয়ে আনেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এর মাধ্যমে তুরস্কে ইসলামপন্থীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তবে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে আবারও মসজিদ বানানোয় পশ্চিমা দেশগুলো তার ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়।

Link copied!