• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকায় ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৪:৩১ পিএম
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকায় ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াল

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউই, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডির’ আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (১৯ মার্চ) ক্ষতিগ্রস্ত আফ্রিকান দেশগুলোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালাউই। দেশটির দুর্যোগ ও ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাণিজ্যিক রাজধানী ব্লানটায়ারে। ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের জন্য কয়েক শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেশী মোজাম্বিক এবং দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি।

মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি ফিলিপ ন্যুসি জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৬৭ জন মারা গেছে এবং ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদিকে দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা কাদায় চাপা পড়া জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। অবিরাম বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এই দুর্যোগে মালাউইয়ে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।

মালাউইয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা জানিয়েছেন, দক্ষিণ অংশের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অনেক এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দৃষ্টিসীমা শূন্যে নেমেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেটওয়ার্ক না থাকার সমস্যাগুলোও আরও প্রকট হয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া বলেন, “আমাদের নদীর পানি উপচে পড়ছে। পানিতে মানুষ ভাসছে, আমাদের বাড়িঘর ধসে পড়ছে।”

মালাউইয়ের প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ১৪ দিনের শোক পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দেড় মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারির শেষদিকে প্রথম আছড়ে পড়ার পর ফ্রেডি গত সপ্তাহে ফের আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে তাণ্ডব চালায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাদেশটিতে আঘাত হানা অন্যতম প্রাণঘাতী এই ঝড়কে দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।

Link copied!