• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজার হাসপাতালগুলো সুরক্ষিত রাখার আহ্বান বাইডেনের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ০১:০৯ পিএম
গাজার হাসপাতালগুলো সুরক্ষিত রাখার আহ্বান বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। (ফাইল ছবি)

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবরুদ্ধ করে রাখা হাসপাতালগুলোকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের জানান, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনারা কম হামলা চালাবে বলে আশা করেন তিনি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) আল-শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ হওয়ার পর সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানানোর পর এ মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, “হাসপাতালগুলোতে হামলা যেন কম হয়, আমি তাই আশা করছি। তবে সেইসঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে হামাসের কাছে বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছি। আমাদের সঙ্গে আরব দেশের নেতারাও আছে। তবে হাসপাতালগুলোর সুরক্ষা নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী।”

হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংকগুলো হাসপাতাল চত্তর পুরো ঘিরে রেখেছে। তারা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, হাসপাতালটি অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬ নবজাতক শিশু রয়েছে। এছাড়াও ৩ জন নার্সকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, হাসপাতালগুলোতে হামাস বাহিনী লুকিয়ে আছে। তারা হামাসকে নির্মূল করতেই এ হামলাগুলো চালাচ্ছে। তবে হাসপাতাল ও হামাস তা অস্বীকার করেছে। ইসরায়েল সেনাদের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “হামাস হাসপাতালে লুকিয়ে আছে। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে তা প্রমাণ করবো।”

রোববার (১২ নভেম্বর) থেকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে আল-শিফা, আল-কুদস ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল তাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। ৭ অক্টোবরে হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং হামাসের কাছে বন্দী আছেন ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ। হামাসের এ হামলার জেরে ইসরায়েলি হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। 

Link copied!