• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাল্টায় আসা অভিবাসীদের ৬৫ শতাংশ বাংলাদেশি : ইউএনএইচসিআর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
মাল্টায় আসা অভিবাসীদের ৬৫ শতাংশ বাংলাদেশি : ইউএনএইচসিআর
ছবি: সংগৃহীত

ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা) জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্রপথে মাল্টায় আসা মোট ২৩১ অভিবাসীর মধ্যে ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে এসেছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সংস্থাটি কর্তৃক প্রকাশিত এক তথ্যপত্রে এই খবর জানা যায়।

২০২২ সালে মাল্টায় আগত মোট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৫৮ এবং ২০২০ সালে ছিল ২ হাজার ৪৫।

চলতি বছরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে ১৪৯ জন বাংলাদেশি। বাকিদের মধ্যে ২১ শতাংশ সিরিয়া, ৮ শতাংশ গিনি, ৭ শতাংশ ক্যামেরুন, ৬ শতাংশ মিসর, ২ শতাংশ সুদান এবং ১ শতাংশ দক্ষিণ সুদান ও ফিলিস্তিনের নাগরিক। 

২০২১ সালে, আগতদের মধ্যে ৫১ জন ছিল বাংলাদেশি, ২৮ শতাংশ সিরিয়ান এবং ৮ শতাংশ মিসরীয়।
ইউএনএইচসিআর বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আগমনকারীদের জাতীয়তাভিত্তিক পরিসংখ্যানে পরিবর্তন এসেছে।  

ইতিমধ্যে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে আশ্রয়ের জন্য ২৮২টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলোর মধ্যে ২২৫টি ছিল প্রথমবার, ৫৪টি দ্বিতীয়বার করা এবং তিনটি পর্যালোচনার জন্য পুনরায় খোলা হয়েছিল।
আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান এবং সিরিয়ার নাগরিক বেশি।

৩০ জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সংস্থা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ১ হাজার ১৬০টি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। যেখানে স্বীকৃতির হার ১৬ শতাংশ (১৭৮টি) আর প্রত্যাখানের হার ছিল ৩৬ শতাংশ (৪২১)। 
২০২৩ সালে জারি করা এসব সিদ্ধান্তের (যাচাই, অনুমোদন বা প্রত্যাখান) জন্য গড় অপেক্ষার সময় ছিল ২.৩ বছর। 

সিরিয়ানদের জন্য গড়ে ২.৬ বছর, ইরিত্রিয়ানদের জন্য ২.৪ বছর এবং সোমালিদের জন্য ২.৭ বছর পর আন্তর্জাতিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

প্রত্যাখ্যাত হওয়া মামলার গড় সময় সুদানিজদের জন্য ২.৯ বছর, সিরিয়ানদের জন্য ৩.৩ বছর, সোমালিদের জন্য ২.৫ বছর এবং বাংলাদেশিদের জন্য প্রায় ৫৪ দিন।

Link copied!