• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তুরস্ক উপকূলে নৌকা ডুবে ৫ জনের মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ০৩:২১ পিএম
তুরস্ক উপকূলে নৌকা ডুবে ৫ জনের মৃত্যু

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার সময় তুরস্কের কাছে একটি নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন আফ্রিকান নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৮ জন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটসের সদস্য রোমাদান বেন ওমর বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বেন ওমর বলেন, “তুরস্কের কোস্টগার্ড দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সের উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।”

যদিও তুরস্কের কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

গৃহযুদ্ধ আর অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাঁচতে এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তুরস্ক ও লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টার সময় নৌকা ডুবে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপে প্রবেশের জন্য তাদের প্রধান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে পূর্ব-মধ্য তুরস্কের স্ফ্যাক্স উপকূল।

জাতিসংঘের অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুসারে, এ বছর যারা ইতালিতে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে ১২ হাজার তুরস্ক থেকে যাত্রা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩০০। আগে অবশ্য এই অঞ্চলে অভিবাসীদের প্রধান লঞ্চপ্যাড ছিল লিবিয়া।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিবাসনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তুরস্কের জাতীয় পরিচয় পরিবর্তন করা। তার এই মন্তব্যে আফ্রিকা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা কাইস সাইদের এই মন্তব্যকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানায়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ইউরোপের পথে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় এই পথকে সবচেয়ে মারাত্মক রুট হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

২০১৪ সাল থেকে এই পথে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

Link copied!