নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। দেশটির মধ্য-উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেনু রাজ্যের উমোগিডিতে এই হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ অঞ্চলে যাযাবর পশুপালক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় নিয়মিত একটি বিষয়।
বেনু রাজ্যের গভর্নরের উপদেষ্টা পল হেম্বা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “৪৬ জন নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
পল হেম্বা হামলার জন্য যাযাবর পশুপালকদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কিছু শান্ত রয়েছে।”
তিনি জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই পশুপালকরা গ্রামবাসীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে। যদিও এ হামলার উদ্দেশ্য কি ছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে বেনু রাজ্যটি নাইজেরিয়ার সংঘর্ষপ্রবণ এলাকার একটি। সেখানে প্রায়ই স্থানীয় কৃষক এবং ফুলানি গোত্রের পশুপালকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে সাধারণত গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফুলানি গোত্রকে দোষারোপ করায় খেপেছেন ফুলানি পশুপালকদের জোট মিয়েত্তি আল্লাহ ক্যাটল ব্রিডারস অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া-এর চেয়ারম্যান বাবা উসমান জেলজারমা।
তিনি তদন্ত ছাড়াই ঢালাওভাবে ফুলানি গোত্রকে দোষারোপ না করার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, “ফুলানি পশুপালকদের দানবরুপে চিহ্নিত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বেনুতেই শুরু হয়েছিল। এখন তা নাইজেরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা ফুলানি পশুপালকদের কিছু আক্রমণে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিচ্ছি না। তবে প্রতিটি আক্রমণের জন্য তাদের সবসময় যেভাবে দোষারোপ করা হয় তা অন্যায্য এবং পক্ষপাতমূলক।”
এ সময় তিনি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
ওটুকপো শহরের স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান বালা এজেহ বলেছেন, মানুষ যখন একদিন আগে নিহত তিনজনের শোক পালন করছির ঠিক তখন বুধবার বিকেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “তার নিজের ছেলে ও দুই আত্মীয়সহ এখন পর্যন্ত ৪৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :