• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

দুবাইয়ে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩, ১২:১৭ পিএম
দুবাইয়ে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন নিহত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। শনিবার আল রাসে নামে ভবনটির চতুর্থ তলায় এ হতাহতের ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর দুবাই সিভিল ডিফেন্স অপারেশন রুমকে আগুনের বিষয়ে অবহিত করা হয়। পরে একটি দল ছয় মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। বন্দর সাইদ এবং হামরিয়াহ ফায়ার স্টেশনের দলগুলো এই অগ্নিনির্বাপণ কর্মকাণ্ডে যোগ দেয়। পরে দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, এরপর শুরু হয় কুলিং অপারেশন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা ভবন থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনের জানালা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া এবং আগুনের শিখা বেরিয়ে আসছে।

দুবাই সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা কাজ করার পাশাপাশি আহতদের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে ভবনের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মেনে না চলায় আগুন লেগেছে।

অগ্নিকাণ্ডের শিকার ওই ভবনের একটি দোকানের শ্রমিকের মতে, তারা ‘বিকট শব্দ’ শুনতে পান। তার ভাষায়, ‘আমরা কয়েক মিনিটের জন্য কী ঘটছে তা বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে আমরা জানলা দিয়ে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখেছি।’

অবশ্য কর্মী এবং কয়েকজন লোক অন্যদের সাহায্য করার জন্য ভবনে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ধোঁয়ার কারণে কিছুই করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘সর্বত্র ধোঁয়া ছিল এবং আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা বিল্ডিং থেকে বের হয়ে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিই। দমকলের ইঞ্জিন, দমকলকর্মী এবং পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরে তারা একটি ক্রেন নিয়ে এসে মানুষকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তাদের দ্রুত পদক্ষেপ অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।’

সমাজকর্মী নাসির ভাদানাপ্পিলি বলেন, কিছু লাশ স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। অন্তত তিনজন হাসপাতালে রয়েছেন এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

Link copied!