আফগানিস্তানে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ৩ নারীসহ ১২ জনকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ব্যভিচার ও চুরির মতো অভিযোগে হাজারো মানুষের সামনে তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়।
বিবিসি জানায়, স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, তালেবান নেতা, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে প্রায় কয়েকশ দর্শক উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সম্প্রতি চাবুক মারা, বেত্রাঘা ও পাথর মারার মতো শাস্তিগুলো পুর্নবহাল করতে চাইছে তালেবান সরকার। এই লক্ষ্যে আদালতে নির্দেশনাও পাঠিয়েছে তারা।
তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই শাস্তি দেখতে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিল। প্রত্যেককে ২১ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়। এদের একজনকে সর্বোচ্চ ৩৯ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে”।
আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাবিবুল্লাহ আখুন্দজাদা বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, শরিয়াহ আইন অনুসারে যেন শাস্তি দেয়া হয়।
আফগানিস্তানের লোগার অঞ্চলের তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র ওমর মনসুর বলেন, “তিন নারীকে শাস্তি দেয়ার পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
তবে ঠিক কতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। আফগানিস্তানে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তালেবান প্রকাশ্যে এমন সাজা কার্যকর করল।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবানের প্রথম শাসনামলে বেত্রাঘাত-পাথর নিক্ষেপের মতো কঠোর শরিয়াহ্ আইনের সাজা কার্যকর ছিল। ২০২১ সালে আবার তারা আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে। ক্ষমতায় এসেই শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় তারা।
আপনার মতামত লিখুন :