• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
বিশ্ব এইডস দিবস

মৃত্যুর কারণ হতে পারে এইডস!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম
মৃত্যুর কারণ হতে পারে এইডস!

অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনিটি ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোমকে সংক্ষেপে এইডস বলা হয়। এটি একটি যৌনরোগ। যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। একবার এই রোগ ধরে বসলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এইডস রোগী খুব সহজেই অন্য রোগে আক্রান্ত হয় এবং অবশেষে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বিশ্ব জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস হিসেবে পালন করা হয় বিশ্বজুড়ে। সাধারণ মানুষকে রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয় এই দিনে। 

এইডস থেকে 'বাঁচতে হলে জানতে হবে' এই শ্লোগানেই সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করেন সংশ্লিষ্টরা। যেকোনো রোগের মতোই এইডস রোগের কারণ ও মোকাবিলায় সচেতনতা প্রয়োজন। মূলত কয়েকটি কারণে এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

  • সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন মিলনের কারণে এই রোগ ছড়ায়।
  • সংক্রমিত ব্যক্তির ইঞ্জেকশনের সুঁচ, রেজার ও ছুরি ব্যবহার করলে এইডস হতে পারে।
  • এইডস বহনকারী ব্যক্তির শরীরের রক্ত অন্য কোনো শরীরে প্রবেশ করালে।
  • এইডস বহনকারী মা যখন সন্তান সম্ভবা হন অথবা সন্তান জন্মদানের সময়ে অথবা সন্তানকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে শিশুর শরীরে রোগটি অনুপ্রবেশ করতে পারে।
  • এইডস বহনকারী কোনো ব্যক্তির ব্যবহৃত কোনো জিনিসপত্রে যদি সংক্রামক রক্ত লেগে থাকে এবং তা ব্যবহারের ফলে যদি শরীরের উন্মুক্ত  বা কাটাছেড়া ত্বকের সংস্পর্শে আসে।

এইডস কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। একই বাতাসে নিশ্বাস নিলে, হাত মেলালে, জড়িয়ে ধরলে, চুমু খেলে, একই পাত্রে খাবার খেলে, পানি খেলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার করলে, তার ব্যবহৃত টয়লেট ব্যবহার করলে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না।

এইডস রোগের চিকিৎসায় কী করা যাবে তা নিয়েও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এইডস রোগটি পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না। এটি শরীরে বাসা বাঁধলে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ব্যক্তি একের পর এক রোগে আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়ার মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচআইভি এবং এআরটি দ্বারা এইডস রোগের চিকিৎসা করা হয়। এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। তাই সঠিক সময় ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ করতে হবে। এইডস রোগের চিকিৎসা করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেদিকেও রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে। 

এখন পর্যন্ত এইডস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো- এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সেই অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা।

Link copied!