• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেজুরের গুড় খেলে দূরে থাকবে রোগবালাই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ১২:২৩ পিএম
খেজুরের গুড় খেলে দূরে থাকবে রোগবালাই

শীতের সঙ্গে মিষ্টি আর পিঠা-পুলির যেনো আত্মিক সম্পর্ক। শীতের শুরুতেই ধুম পড়ে যায় নানান রকম পিঠা তৈরির, পায়েস বানানোর। আর এসময় গুড় ছাড়া স্বাদ যেন ঠিক জমে না। তাই পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নলেন, আখ বা খেজুরের গুড়।

পুষ্টিবিদদের মতে, রস থেকে তৈরি করা খেজুরের গুড়ে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরের গুড়ে এমন অনেক ওষুধি গুণ থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর গুড়ে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ম ও ফসফরাস। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন ও নিয়াসিনও আছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যেহেতু শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়, তাই এ সময় খাদ্যতালিকায় নিয়মিত গুড় রাখলে আর চিন্তা করতে হবে না।

শীতে খেজুরের গুড় খেলে যেসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায় তা জানাব এই আয়োজনে_

  • নিয়মিত অল্প করে গুড় খেলে শরীরে দীর্ঘক্ষণ অ্যানার্জি মেলে। এছাড়াও খাবার দ্রুত হজম হয় এবং বদহজমজনিত সমস্যাও দূর হয়। গুড়ে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
  • খেজুরের গুড়ে থাকা ওষুধি উপাদান মাইগ্রেনের সমস্যা কমায়। যারা প্রচণ্ড মাইগ্রেনের ব্যথায় কষ্ট পান তারা নিয়মিত অল্প করে গুড় খেতে পারেন।
  • শীতে কমবেশি সবাই শুকনো কাশি, ঠান্ডা, অ্যাজমায় ভোগেন। এসব প্রতিরোধে খেজুরের গুড় দুর্দান্ত কাজ করে। এছাড়াও জমে থাকা কফ দূর করে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার রাখে গুড়।
  • খেজুর গুড়ে আছে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে গুড় খেলে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করে।
  • খেজুর গুড়ে থাকে পর্যাপ্ত আয়রন। যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রেখে রক্তশূন্যতা দূর করে। এছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুর কাজও ঠিক রাখে।
  • নারীদের পিরিয়ডকালীন পেট ব্যথা দূর করতে খেজুরের গুড় দুর্দান্ত কাজ করে। এছাড়াও শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে নলেন গুড়।
  • শীতে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে খেজুরের গুড়। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যায় ও দীর্ঘক্ষণ থাকে। ফলে হঠাৎ শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার ভয় নেই।

 

সূত্র: হেলথ জোন

Link copied!