কমবেশি সবার রান্নাঘরেই এলাচ থাকে। খাবারকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি এলাচের নানারকমের গুণ রয়েছে। এলাচ মূলত আরবের একটি মশলা। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হত। এটিতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল ক্ষমতা রয়েছে। মেটাবলিক কোনও অসুখ থাকলে বা ডায়াবেটিস থাকলেও এটি কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগও কমায় এটি। হৃদয়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এটি বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও এটি কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই এলাচের কিছু উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক-
- এলাচ পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করে। বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
- দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেলে ত্বক টানটান হয়।
- মধু, লেবুর রস ও গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে।
- এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে একটি এলাচ নিয়ে চিবাতে থাকুন। এটি মুখগহ্বরে সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে।
- গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
- অনেক সময় ভারী কোনো জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে তত্ক্ষণাত্ উপশম হয়।
- গরম পানিতে চা পাতা, এলাচ গুঁড়া ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথা করলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেলে ব্যথা দূর হবে। এ ছাড়াও এলাচ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
- এলাচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর তাই সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলে সুফল পাবেন।
কিছু সতর্কতা
- গর্ভাবস্থায় এলাচ খাওয়া উচিত নয়।
- গলব্লাডার বা কিডনিতে স্টোনের সমস্যা থাকলে এলাচ তাদের জন্য ক্ষতিকর।
- এলাচ খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
- অতিরিক্ত এলাচ খেলে কাশি এবং বমি হতে পারে।