পা নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকার কারণে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আবার বেশি সময় ধরে জুতা-মোজা পড়ে থাকার কারণেও এমনটি ঘটতে পারে। মূলত ছত্রাক-ঘটিত সংক্রমণের কারণেই এমন হয়। শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে তাকে মেডিকেলের ভাষায় ‘টিনিয়া’ বলা হয়। আর পায়ে যদি ছত্রাক সংক্রমণ হয় তখন তাকে বলা হয় ‘টিনিয়া পেতিস’। টিনিয়া পেতিস মূলত ‘ট্রাইকোফাইটন রুবরাম’ নামক এক প্রকার ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে।
ট্রাইকোফাইটন পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতেও মিশে থাকে। মাটি থেকেই এই ফাঙ্গাস মানুষের পায়ে সংক্রমণ ঘটায়। খালি পায়ে যারা হাঁটেন, তারাই বেশি এই রোগে আক্রান্ত হন। মূলত পায়ের আঙুলের কোণায়, আঙুলের ফাঁকে, আঙুলের উপরিভাগে এই ঘা হয়। আর্দ্র পরিবেশে থাকলে এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকের নখেও এই ঘা হয়।
উপসর্গ
আঙুলের কোণায় লালচে রঙের হয়ে ক্ষত তৈরি হয়। সে ক্ষতস্থান বেড়ে গেলে ব্যথা হয় ও চুলকাতে থাকে। চুলকানোর এক পর্যায়ে লাল হয়ে পানি বের হতে পারে ও চিকিৎসা না করালে ইনফেকশন হতে শুরু করে।
যদিও অনেকে এটিকে অ্যাকজিমার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। অ্যাকজিমা অধিকাংশ সময় দুই পায়ে হয়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন একটু ব্যতিক্রম। আবার অনেকের ক্ষেত্রে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হওয়ার পরে সেইখানে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। আঙুলের ফাঁকে হলে তাকে ইন্টার ডিজিটাল টিনিয়া পেডিস বলে।
প্রতিরোধে করণীয়
সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। গ্রামের মানুষকে জুতা পরে হাঁটার ক্ষেত্রে সচেতন করতে হবে। একবার টিনিয়া পেডিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সূত্র: হেলথলাইন