আজ (২০ নভেম্বর) সার্বজনীন শিশু দিবস। শিশুদের ওপর নির্ভর করছে আগামীর পৃথিবী। সবার আগে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিশু যেন সঠিক পরিচর্যার মধ্য দিয়ে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থভাবে বড় হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই।
তাই শিশুর সুরক্ষাকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার কনভেনশন বা সনদ (সিআরসি) গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর ২০ নভেম্বর সার্বজনীন শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম সারির ২২টি দেশের অন্যতম যারা সিআরসি সনদ স্বাক্ষর করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য `ফর এভরি চাইল্ড এভরি রাইট।`
সিআরসি স্বাক্ষর করার পর শিশুর অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শিশু নীতিমালা, শিশু আইন, জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা এবং জাতীয় শিশু শ্রম নিরোধ নীতিমালা প্রনয়নসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
ফলে দেশে শিশু শিক্ষার হার বেড়েছে, কমেছে শিশু মৃত্যহার, স্কুলে শারীরিক শাস্তি অবৈধ করা হয়েছে এবং শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকাও প্রণয়ন করা সম্ভব হয়েছে। দেশের বিশাল সংখ্যক শিশুর দেখাশোনার দায়িত্ব রয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর।
এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারী উন্নয়নে কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মহিলা অধিদপ্তর থাকলেও শিশুদের জন্য সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে শিশুরা যথাযথ মনোযোগ ও গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাই শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর এখন সময়ের দাবি।