যারা অনিয়মিত জীবনযাপন করেন তাদেরই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বেশি দেখা যায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লিভারের ওপর এমনিতেই স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি আস্তরণ থাকে, তবে এর ওপরে যদি আবারও অতিরিক্ত চর্বি জমতে শুরু করে তাহলে তা ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যকারী ক্ষমতা কমে যায়, ফলে পুরো স্বাস্থ্যে ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ফ্যাটি লিভার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
প্রতিদিনের খাবারে হলুদ অন্তর্ভুক্ত করলেই লিভারে জমা অতিরিক্ত চর্বি দূর হবে। হলুদের কারকিউমিন নামক যৌগ প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তরা সকালের চায়ের মতো করে হলুদ মেশানো পানি পানেই লিভারের চর্বি কাটাতে পারবেন। এটি চর্বি কমাতে ও লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
পানীয়টি তৈরি করতে ১ গ্লাস গরম পানি নিতে হবে। এতে ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। এর প্রভাব বাড়াতে যোগ করতে পারেন ১ চিমটি দারচিনির গুঁড়া। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যারা ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া। উচ্চ আঁশযুক্ত উদ্ভিদ যেমন- লেবু ও গোটা শস্য খাওয়া।
পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি, লবণ, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। আর যারা অ্যালকোহলে আসক্ত তারা অবশ্যই এটি এড়িয়ে চলবেন।
কফি লিভারের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষামূলক সুবিধা দেয়। লিভারের এনজাইম তৈরিতে (যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে) সাহায্য করে কফি।
গবেষণায় প্রমাণিত যে, এনএএফএলডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের লিভারের সামগ্রিক ক্ষতি কমাতে নিয়মিত কফি খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো কফি হলো সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে কোনো অতিরিক্ত চর্বি বা চিনি থাকে না।