শীত চলে এলো বলে। এসময় গরম ভাতের সঙ্গে ১ চামচ ঘি মেখে নিলে প্রায় অর্ধেকটা থালা ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। এছাড়াও প্রায় সব ধরণের খাবারের সঙ্গে ঘি খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বর্ণনা বলা হয়েছে। সর্দি-কাশি সারাতে, দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের সমস্যা দূর করতে ঘি ব্যবহৃত হয়।
এ ছাড়া ঘিয়ে পেঁয়াজ ভেজে খেলে গলা ব্যথা সারে। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালই ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় এটি সহজে হজম হয় ও শরীর গরম রাখে। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে আছে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি পেশি সুগঠিত রাখতে ঘি কার্যকর। এ ছাড়া শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে ঘি। প্রতিদিন সকালে এক বা দুই চা-চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। এরপর গ্রিন টি বা সাধারণ চা ও কফি খেলে উপকার পাওয়া যায়। ঘি অবশ্য অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো। যাদের কোলস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রতিদিন ঘি খেলে যেসব উপকার হয়
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তা আর্দ্র রাখে।
- ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য উপকারী। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে।
- এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
- পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে ঘি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে ঘি খেলে মস্তিষ্কের ধার বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
- তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ১ চামচ ঘি খাওয়া প্রয়োজন।