• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রাকৃতিক উপায়ে শিশুর রক্তস্বল্পতা কমাবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
প্রাকৃতিক উপায়ে শিশুর রক্তস্বল্পতা কমাবেন যেভাবে
শিশুর রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ান । ছবি : সংগৃহীত

রক্তস্বল্পতা খুব চেনা পরিচিত একটি রোগ। বাড়ন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। রোগ থেকে সেরে ওঠার সময়ও আয়রন বেশি প্রয়োজন হয়। রক্তস্বল্পতা শিশুর বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিকার করা উচিত। 

শিশুর শরীরে অপুষ্টি হলেও রক্তস্বল্পতা হয়। তবে এটি ছাড়া আরও নানা কারণে হতে পারে। যেমন, কোনও কারণে রক্তপাত হতে থাকা, জিনগত কারণ এবং আয়রনে শোষণের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে। শিশুর  ক্লান্তিবোধ, অবসন্নতা, বিরক্তিভাব, ভঙ্গুর নখ, ক্ষুধামন্দা এসব দেখলেই সতর্ক হোন। এগুলো রক্তস্বল্পতার লক্ষণ। 

সাধারণত ৯ থেকে ২৪ মাসের শিশুরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। যদি বুঝতে পারেন শিশুর রক্তস্বল্পতা হয়েছে তাহলে প্রাথমিকভাবে কিছু প্রাকৃতিক খাবারের মধ্য দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলো কী-

মায়ের বুকের দুধে উচ্চ পরিমাণ আয়রন রয়েছে। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। পাশাপাশি ডিমের কুসুম, মাংস, শিম ইত্যাদি খাওয়ান। পেয়ারা, কমলালেবু, লেবু, ডালিম, আমলকি, অ্যাভোকেডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো খাওয়ালে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।  ইত্যাদি।

যেসব শিশু রক্তস্বল্পতায় ভুগছে তাদের জন্য গুড় একটি ভালো খাবার। এই শীতে তাজা গুড় শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এটি আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। তাই রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে এটি নিয়মিত খাওয়ান। গরুর লাল মাংস, কলিজা, মুরগির কলিজা, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, দই ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা পূরণে খেতে দিন।

এ ছাড়া কাঁচকলা, ব্রুকলি, শিমের বিচি, ডুমুর, কলার মোচা, অঙ্কুরিত মুগডাল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত করতে পারেন বিটরুট। এটি আয়রনের একটি ভালো উৎস। বিটের রসে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, খাদ্য আঁশ, পটাসিয়াম, ফলিক এসিড ইত্যাদি থাকে, যা দেহে লাল রক্তকণিকা বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। 

আপেল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই খোসাসহ একটি আপেল খেতে দিন প্রতিদিন। কলায় যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম ও বেশ কিছু কার্যকর উপাদান রয়েছে, যা মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে এবং হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুদের কলা চটকে অথবা দুধের সঙ্গে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

এইসব খাবার শুধুমাত্র যেসব শিশুর রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদেরই নয়, সুস্থ শিশুকেও খাওয়াতে পারেন। যাতে রক্তস্বল্পতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।

Link copied!