কতবেল টক, মিষ্টি স্বাদ ও হালকা সুগন্ধযুক্ত একটি ফল। ভেতরে ধূসর রঙের আঠালো শাঁস এবং ছোট সাদা বীজ থাকে। পাকার পর কাঁচা মরিচ, লবণ ও চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু আচার বানিয়ে খাওয়া হয় এটি। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের দাবি, কতবেল কিডনি সুরক্ষিত রাখে। লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারী। কতবেলের ট্যানিন দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া ও পেটের ব্যথা ভালো করে।
পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কতবেলে রয়েছে পানীয় অংশ ৮৫.৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলোক্যালোরি, আমিষ ৩.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন-বি ০.৮০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন-সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালোরি।
উপকারিতা
- কাঁচা কতবেল ছোট এলাচ, মধু মিশিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।
- লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারী।
- কতবেল কলেরা ও পাইলসের প্রতিষেধক।
- কতবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- বুক ধড়ফড় ও নিম্ন রক্তচাপ রোধেও সহায়ক।
- মিছরির সঙ্গে কতবেল মিশিয়ে খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
- কতবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
- কতবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি জোগায়।
- ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে কতবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
- কতবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়।
- আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কতবেল বেশ কার্যকরী।
- ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কতবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    






































