• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাড়ছে হাম, লক্ষণ জেনে চিকিৎসা করুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম
বাড়ছে হাম, লক্ষণ জেনে চিকিৎসা করুন

শীতের এই মৌসুমেই হাম ছড়াচ্ছে। হাম ছোঁয়াচে রোগ। খুব সহজেই একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ছোটরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শিশুকে প্রতিরক্ষার জন্য হামের টিকাও দেওয়া হয়। তবুও মৌসুম এলে হামের প্রকোপ বেড়ে গেলে শিশুরাও রক্ষা পায় না। টিকা দেওয়া থাকলে তুলনামূলক হাম কম উঠে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগ নিয়ে সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছে। ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় এটি ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে। যা নিরাময় করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

হাম কীভাবে ছড়ায়

হাম ভাইরাসজনিত রোগ। তাই এটি বেশি ছড়াবে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত রোগীর হাঁচি ও কাশি মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্যের শরীরে ঢুকবে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই ভাইরাস ২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

হামের লক্ষণ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা যায়, হাম বা মিসেলস হলো ভাইরাসজনিত অসুখ। এই রোগ অনেক সময় ভয়ঙ্করও হতে পারে। যার কারণে মৃত্যুও হয়। সাধারণত ৫ বছরের থেকে কম বয়সীদের মধ্যে এই রোগ বেশি হয়। হাম হলে শিশুদের এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব, ডায়ারিয়া, শরীরে পানিশূন্যতা, নিউমোনিয়ার সমস্যা দেখা যায়। হাম হয়েছে কিনা তা কিছু উপসর্গের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। যেমন

  • শরীরে হাম হলে প্রথমে খুব জ্বর হবে। এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই প্রচণ্ড জ্বর হয়।
  • সর্দি লাগবে। কাশি হবে। চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে থাকবে। 
  • ত্বকে সাদা সাদা দাগ দেখা যাবে। কিছুদিন পর র্যাশ বের হবে। সারা শরীরেই র্যাশ হতে পারে। যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

হামের চিকিৎসা

হামের নির্দিষ্ট কোনও চিকিত্সা নেই। চিকিত্সকের পরামর্শে ভিটামিন এ ডোজ দেওয়া যেতে পারে। হাম থেকে ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার পরামর্শ দিবে চিকিত্সক। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী হচ্ছে টিকা। হামের টিকা শিশুকে অবশ্যই দিতে হবে। সেই সঙ্গে হামের ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন স্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

Link copied!