• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অফিসে যে কারণে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
অফিসে যে কারণে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে
দিনের অনেকটা সময় একটানা চেয়ারে বসে কাজ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

দিনের অধিকাংশ সময় অফিসে কাটছে। সকাল থেকে বিকেল কিংবা রাত অবদি অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু জানেন কি, অফিসেই রয়েছে আপনার জন্য মারাত্মক বিপদ। হ্যা, অফিসে থাকা একটি জিনিসই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, অফিসে থাকা আপনার চেয়ারই আপনার জন্য ক্ষতিকর। যে চেয়ারে বসে আপনি দীর্ঘসময় কাজ করছেন সেটিই আপনার জন্য় বিপদ ডেকে আনছে। কমিয়ে দিচ্ছে আপনার আয়ু।

গবেষণাটি প্রকাশ পায় জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে। তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত হওয়া এই গবেষণায় দেখা গেছে, আরামের চেয়ারে বসে সারাক্ষণ কাজ করাই মানুষের শারীরিক ক্ষতির অন্যতম কারণ হচ্ছে। গবেষণাটি মোট ৪,৮১,৬৮৮ জনকে নিয়ে করা হয়। প্রায় ১৩ বছর ধরে জরুরি তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান গবেষকরা। ফলাফলে দেখা গেছে, মানব শরীরে বিভিন্ন রোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই চেয়ার। এমনকি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রায় ১৬ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে এই চেয়ারে সারাক্ষণ বসে থেকেই।

গবেষকরা জানান, দিনের অনেকটা সময় একটানা চেয়ারে বসে কাজ করা হচ্ছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। এই অভ্যাসের কারণে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের হার ৩৪ শতাংশ বাড়ছে।

এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হাড়ের রোগ, পেটের নানা সমস্যার কারণও এই অভ্যাস। শরীর মুটিয়ে যাওয়া, কোমরের চারপাশে ফ্যাট জমার অন্যতম কারণও দীর্ঘসময় চেয়ারে বসে থাকা।

গবেষকরা আরও জানান, শুধু শরীরের উপরই নয় এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করছে। দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ বাড়ছে। এমনকি হঠাত্ মানসিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে। যা মানসিক ভারসাম্যের উপরও প্রভাব ফেলে।

অফিসের এই অভ্যাস তো আর শখে হয় না। কাজের প্রয়োজনেই চেয়ারে বসতে হয়। আর ব্যস্ততায় কখন যে সময় গড়িয়ে যায় তা হয়তো অনেকেই টেরও পাচ্ছেন না। তাহলে উপায় কী? গবেষকরা এই অভ্যাসের কারণে হওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়েছেন। তারা জানান, দীর্ঘসময় না বসে থেকে  কাজের মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি জরুরি। ঘণ্টাখানের পর ১০ মিনিট হাঁটলেই স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানো জরুরি। শরীর সচল রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসও স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমাবে বলে জানান গবেষকরা।

সূত্র: হেলথলাইন

Link copied!