অনেকেরই জানা নেই খুব পরিচিত এবং প্রায় প্রতিদিনের তালিকায় রয়েছে এমন কিছু খাবার, যেগুলো সেদ্ধ করে খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। চলুন আজ জানিয়ে দেব তেমন কয়েকটি খাবারের নাম-
আলু
ভাত-রুটির পর আলু আমাদের কাছে বেশি পরিচিত। এটি প্রায় সবার বাড়িতেই খাওয়া হয়। এটি খুব সহজেই হজম করা যায়। যেকোনো বয়সী মানুষ এই খাবার খেতে পারেন। অতি সাধারণ দেখতে এই সবজি অসাধারণ সব গুণাবলীতে ভরপুর। এতে আছে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, পর্যাপ্ত ফাইবার, জিঙ্ক, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে নিয়মিত খেতে হবে এই সবজি। তবে, জেনে রাখা ভালো আলু সেদ্ধ না করে খেলে ক্ষতিকর। আবার সেদ্ধ করার পর আলুতে থাকা ফাইবার সঠিক পরিমাণে পাওয়া যাবে। আর ওজন কমাতে ফাইবার দারুণ উপকারী।
চিকেন
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মুরগির মাংস নানাভাবে রান্না হলেও সেদ্ধ করে খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সেদ্ধ মুরগির মাংসে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও চিকেন সেদ্ধ করে খেতে পারেন।
ডাল
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় সেদ্ধ ডাল একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে। সেদ্ধ ডাল প্রোটিনের ভালো উৎস। ডাল সেদ্ধ করে খেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন পাওয়া যায়। বিপাকহারও উন্নত হয়। তাই যেকোনো ডাল সব সময়ে সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো।
ব্রকলি
ডায়েট চলাকালীন সবজি সেদ্ধ করে খান অনেকেই। ব্রকলি কিন্তু ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই ব্রকলি সেদ্ধ করে খেতে পারেন। ব্রকলিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে বৃদ্ধি পেতে দেয় না। ব্রকলি রান্না করে খাওয়ার বদলে সেদ্ধ করে খেতে পারেন।
পালং শাক
শীতকালে নানা রকম সবজি দিয়ে পালং শাকের পদ করে থাকেন অনেকে। তবে পালং শাক সেদ্ধ করে খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী। পালং শাকে রয়েছে জেক্সানাথিন ক্যারোটিনয়েডস। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে ঝরঝরে করে তোলে পালং শাক।